বৃহস্পতিবার (১৮ মে) সকালে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে মনিরুল বলেন, প্রধান অভিযুক্তকে কেবল জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে, কোন পরিস্থিতিতে কিভাবে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে তা আরও জিজ্ঞাসাবাদে জানা যাবে।
ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
মনিরুল ইসলাম বলেন, মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে অভিযান চালিয়ে নাঈম আশরাফ ওরফে বাটপার নাঈম ওরফে এইচএম হালিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাদীদের ভাষ্য অনুযায়ী সেদিন রাতে নাঈমের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি বিতর্কিত ছিল। গ্রেফতারের পর তাকে ডিবি কার্যালয়ে প্রথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাঈম ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছে। ’
সামগ্রিক বিষয় ও আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনাটি ধর্ষণ বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে কি না, জানতে চাইলে ডিএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ‘সে রাতে প্রধান ভূমিকা পালনকারী নাঈমকে মাত্রই আমরা গ্রেফতার করেছি। তাকে রিমান্ডে নিয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদের পরই সামগ্রিক বিষয়ে মন্তব্য করা যাবে। ’
এঘটনার বাদী দুই তরুণীকে আসামিদের সঙ্গে মুখোমুখি করা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আসামিদের কাছ থেকে যেসব তথ্য পাচ্ছি, সেগুলো নিয়ে বাদীদের সঙ্গে কথা বলছি। তাছাড়া বাদীরা আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
অস্ত্রের মুখে ধর্ষণ করা হয়েছে কি না? এমন প্রশ্নে বলেন, সাফাতের বডিগার্ড রহমতের কাছ থেকে তার অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছে। অস্ত্রটি সেই রাতে ব্যবহার হয়েছিল কি না আমরা তদন্ত করছি।
বুধবার অভিযুক্ত সাদমান সাকিফের রিমান্ড শেষ হয়েছে। সাফাতের রিমান্ড শেষ হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার উল্লেখ করে মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রয়োজনে সাদমানকে আবারো রিমান্ডে চাওয়া হতে পারে, সাফাতেরটা এখনই বলা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ সময় ১১২০ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৭
এমএমকে