মোরা ধেয়ে আসায় মোংলা বন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ মোকাবেলায় সোমবার (২৯ মে) দুপুর ১টায় জরুরি প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে খুলনা জেলা প্রশাসনে।
খুলনা জেলা প্রশাসক মো. আমিন উল আহসান দুপুরে বাংলানিউজকে বলেন, সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জরুরি সভা করে দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলার ৯ উপজেলার ২৫০টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
জেলার উপকূলীয় উপজেলা কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপে শুকনো খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সরকারি বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি বেসরকারি সেচ্ছাসেবী সংগঠন গুলোকে মাঠ পর্যায়ে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে মানুষকে সতর্ক করতে ও নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে মাইকিং করা হচ্ছে। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা, ট্রলার এবং সমুদ্রগামী জাহাজকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে বলে জানান খুলনা জেলা প্রশাসক।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার ওলিউল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, চার নম্বর সংকেতের পর বন্দরে মিটিং হয়েছে। বন্দর থেকে আর কোনো জাহাজ ছাড়ছে না। কিন্তু বন্দরের উদ্দেশে ইতিমধ্যে যেসব জাহাজ আসছিলো সেসব আসছে। মোংলা বন্দরে অবস্থানরত জাহাজে পণ্য ওঠানামার কাজ বন্ধ রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোরা মোকাবেলার জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
দুর্যোগ মোকাবেলায় বন্দরের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সতর্ক করে বন্দর কর্তৃপক্ষের উদ্ধার যানবাহন প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
** ঘূর্ণিঝড় মোরা মোকাবেলায় প্রস্তুত মোংলা বন্দর
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৭
এমআরএম/আরআইএস/এমজেএফ