গুলশান থানার অফিসার্স ইন-চার্জ (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বাংলানিউজকে বলেন, তথ্য-প্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলার আসামি অধ্যাপক আফসান উদ্দিন চৌধুরীকে গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে আমরা তৎপর রয়েছি।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, এরই মধ্যে তাকে গ্রেফতার করতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ। যে কোনো সময় আফসান চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হতে পারে।
অধ্যাপক আফসান চৌধুরী তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে সাবেক সামরিক কর্মকর্তা লে. জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীকে নিয়ে মানহানিকর ও মিথ্যা অপপ্রচার চালান। এই অভিযোগে গত ১৮ মে মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী বাদী হয়ে তথ্য-প্রযুক্তি আইনে গুলশান থানার একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর-৬।
অধ্যাপক আফসান উদ্দিন চৌধুরী উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে তার নিজ ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে বিভিন্ন মিথ্যাচার করেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
গত ৮ মে রাত ৮টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের কারওয়ানবাজারে অবস্থিত একটি অনলাইন পত্রিকার অফিসে বসে তার নিজ মোবাইলে ফেসবুক অন করে এসব অপপ্রচার চালান।
বাদী মামলার এজাহারের উল্লেখ করেছেন, আফসান চৌধুরী তার ওই মিথ্যচারে উল্লেখ করেছেন ‘পিকাসো রেস্টুরেন্টের মালিক অবসরপ্রাপ্ত লে. জে. মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এই নামটি বলতে গণমাধ্যমের সমস্যা কোথায়?’
মামলার বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, ‘প্রকৃতপক্ষে আমি পিকাসো রেস্টুরেন্টের মালিক নই। ’
বনানীতে দুই তরুণী ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে আমাকে ও আমার পরিবারকে জড়িয়ে বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়েছেন। আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও মর্যাদা ক্ষুন্ন করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালান তিনি।
ফেসবুকে মিথ্যা ও অপপ্রচার চালানোর কারণে আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের সামাজিকভাবে মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়েছে। এই কারণে অধ্যাপক আফসান চৌধুরীর বিরুদ্ধে তথ্য-প্রযুক্তি আইনে একটি মামলা দায়ের করেছি।
এর আগেও অধ্যাপক আফসান চৌধুরী বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ইস্যুতে দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নাম জড়িয়ে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডির মাধ্যমে মানহানিকর মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়েছেন বলেও একজন আইনজীবীর পাঠানো নোটিসে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১১ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১৭
এসজেএ/কেজেড/বিএস