দেশে আসা প্রবাসী ও তাদের স্বজনেরা বিমানবন্দরের সামনে রয়েছেন, কেউ কেউ পায়ে হেঁটেই রওনা হয়েছেন গন্তব্যের দিকে। কিন্তু বিদেশ গমনেচ্ছুদের মাঝে নির্ধারিত ফ্লাইট ধরতে না পারার আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
খিলক্ষেত থানার সামনে দিয়ে লাগেজ নিয়ে বিমানবন্দরের দিকে প্রায় দৌড়ে যাচ্ছিলেন দোহারের বাসিন্দা সালাহউদ্দীন। বিকেল সাড়ে চারটায় কুয়েত এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তার কুয়েত যাওয়ার কথা। বেলা আড়াইটার মধ্যে বিমানবন্দরে পৌঁছে যাওয়ার কথা থাকলেও বনানী থেকে হেঁটে দুপুর আড়াইটায় খিলক্ষেতে পৌঁছাতে পেরেছেন তিনি। এখন সময়মতো প্লেন ধরতে পারবেন কিনা সেই শংকায় পড়েছেন ওই প্রবাসী।
অন্যদিকে এমিরেটস এয়ালাইন্সের ফ্লাইটে ইতালির ভেনিস থেকে বেলা ১০টায় শাহাজালালে নেমেছেন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের কামরুল ইসলাম। স্বজনদের নিয়ে রাস্তায় বসে আছেন তিনি। এরই মধ্যে পরিবারের দুই সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কখন বাসায় ফিরতে পারবেন, মিলছে না সেই নিশ্চয়তাও।
কেবল সালাহউদ্দীন বা কামরুল ইসলামই নয়, তাবলিগ জামায়াতের চলমান বিক্ষোভে ভোগান্তিতে পড়েছেন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সব যাত্রী ও তাদের স্বজনরা। তাবলিগ জামায়াতের এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে স্থবির হয়ে পড়েছে বিমানবন্দর সড়কের যান চলাচল।
এমনকি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোসাদ্দেক আহমেদকে দেখা গেলো বিমানবন্দরের দিক থেকে পায়ে হেঁটে বলাকা ভবনে যেতে। প্রচলিত পথ ব্যবহার না করে বাগানের মাটির পথ ধরেই সহকর্মীকে নিয়ে বলাকায় যান বিমান এমডি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৮
আরএম/এমজেএফ