বুধবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মাওলানা সাদ গাড়িযোগে কাকরাইলের ওই মসজিদে গেলে তারপর থেকেই নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। তার আগমন ঠেকাতে সকাল থেকেই বিমানবন্দরের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বিক্ষোভ করেন হেফাজত ও কওমিপন্থি আলেম-উলামারা।
মাওলানা সাদ বিমানবন্দর থেকে কাকরাইল মসজিদে চলে যাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীরা ওই মসজিদের সামনে এবং টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে লাগাতার অবস্থানের ঘোষণা দেন। আন্দোলনকারীরা হুমকি দিয়ে বলছেন, মাওলানা সাদকে কাকরাইল মসজিদ থেকে বের হয়ে ইজতেমায় অংশ নিতে দেওয়া হবে না।
এই উত্তেজনার প্রেক্ষিতে কাকরাইল মসজিদ ও তার আশপাশে বিপুল সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয় বিকেল থেকেই। মসজিদের সামনে সতর্ক প্রহরায় রয়েছেন পুলিশ, র্যাবসহ সাদা পোশাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
সন্ধ্যায় কাকরাইল মসজিদের সামনে গিয়ে দেখা যায়, সংঘবদ্ধভাবে কাকরাইল মসজিদের আশেপাশে মুসল্লিসহ কাউকে অবস্থান করতে দেওয়া হচ্ছে না। বিনা প্রয়োজনে কাউকে এলাকায় অবস্থান না করতে অনুরোধ করতেও দেখা গেছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার বাংলানিউজকে বলেন, যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কাকরাইল মসজিদ ও তার আশ-পাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৮
এএম/এইচএ/