ঢাকা, সোমবার, ৪ ভাদ্র ১৪৩১, ১৯ আগস্ট ২০২৪, ১৩ সফর ১৪৪৬

জাতীয়

নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পেতে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৮
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পেতে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে

সংসদ ভবন থেকে: সরকার নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করার লক্ষ্যে মাস্টার প্লান নিয়ে এগুচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেছেন, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পেতে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স এর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুতের চাহিদার শেষ নাই।

এখন শতভাগ বিদ্যুৎ দিলে এক মাস পর আবার দ্বিগুণ চাহিদা বেড়ে যায়। বর্তমানে আমরা গড়ে ৪৫০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহার করছি। আর উন্নত বিশ্বে...সিঙ্গাপুরে গড়ে ব্যবহৃত হচ্ছে ১৭ হাজার কিলোওয়াট। আর মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হলে বিদ্যুতের ব্যবহার হতে হবে কমপক্ষে ২২০০ কিলোওয়াট। আমাদের চাহিদা উর্দ্ধমুখী।
 
তিনি বলেন, আমাদের আয় বাড়বে, সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুতের চাহিদাও বাড়বে। ২০৪১ সাল পর্যন্ত কি পরিমাণ বিদ্যুৎ দিলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ হবে তার একটি মাস্টার প্লান নিয়েই আমরা এগুচ্ছি। এখনকার চাহিদা ধরে আমরা একটা হিসাব করেছি ২০৪১ সালে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দরকার হবে। আমরা সে হিসাব ধরেই এগুচ্ছি। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পেতে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
 
অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে না সমন্বয় করা হচ্ছে। এ মুহূর্তে আরইবিতে ৫০ লাখ গ্রাহক লাইফ লাইনের নিচে থাকেন। তাদের ট্যারিফ মাত্র দুই টাকা। আর বিদ্যুৎ বাল্কে প্রতি ইউনিটে খরচ হচ্ছে প্রায় ৭ টাকা। আমরা সেখানে দুই টাকায় বিদ্যুৎ বিক্রি করছি একটা বিরাট অংশের কাছে। এজন্য প্রচুর ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। ভর্তুকি থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসতে বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করা হচ্ছে। এ ভর্তুকি কাটিয়ে উঠতে হয়তো ৫ বছর, ৬ বছর লাগবে।
 
তিনি আরও বলেন, এখন যাদের দাম সমন্বয় করা হচ্ছে তারা হলেন ৪০০ কিলোওয়োটের বেশি ব্যবহারকারী। যারা বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন, তাদের ক্ষেত্রে দামটা সমন্বয় করা হচ্ছে। লাইফ লাইনের নিচে যারা বা কৃষি পর্যায়ে এখনো কমফোট দিতে হচ্ছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৮
এসএম/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।