চলতি অর্থবছরের ‘বাজেট ২০১৭-১৮ : প্রথম প্রান্তিক (জুলাই-সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও আয়-ব্যয়ের গতিধারা এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল মুহিত প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন।
প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী বলেন, আর্থ-সামাজিক সব ক্ষেত্রেই অব্যাহত আছে ইতিবাচক পরির্তনের ধারা। চলতি অর্থবছরের অক্টোবরের মাঝামাঝি জাতিসংঘের সিডিপি সচিবালয়ের একটি মিশন বাংলাদেশ সফর করে নিশ্চিত করেছে যে, ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়ে নির্ধারিত সিডিপি রিভিউ সভার আগেই বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে আসার প্রয়োজনীয় তিনটি শর্ত পূরণ করতে সক্ষম হবে।
তিনি বলেন, আর্থ-সামাজিক অগ্রযাত্রার এ মাহেন্দ্রক্ষণকে পুঁজি করে আমরা আরো অগ্রসর হতে চাই। ইতোমধ্যেই ২০৪১ সাল নাগাদ সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য সামনে রেখে আমরা সুদূরপ্রসারী কর্মপরিকল্পনা সাজিয়েছি এবং তা বাস্তবায়নে নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে চলেছি। একইসঙ্গে বিশ্বায়নের এ যুগে আমাদের কর্মপরিকল্পনা এসডিজির সঙ্গেও সমন্বয় করে নিয়েছি।
মন্ত্রী জানান, রফতানি আয় বিগত অর্থবছরের প্রাথম প্রান্তিকের ৮ দশমিক ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ৮ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। প্রথম প্রান্তিকে রফতানি আয়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ৬ শতাংশ, বিগত অর্থবছরে একই সময়ে যা ছিল ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। এছাড়া আমদানি ব্যয় ২৮ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ১৩ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার হয়েছে; বিগত অর্থবছরে এ প্রবৃদ্ধি ছিল ৮ দশমিক ৪ শতাংশ।
‘দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঊর্ধ্বমুখী থাকায় ভোগ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়ছে। ফলে আমদানির চাহিদা বাড়ছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আমাদের মোট আমদানি ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৪৭ হাজার ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বিগত অর্থবছরের তুলনায় ৯ শতাংশ বেশি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৮
এসএম/এএ