রোববার (১ এপ্রিল) ভোরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বরইতলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে সাতজনের পরিচয় পাওয়া গেছে।
তারা হলেন- বরগুনা জেলার আমতলীর হামিদ মৃধার ছেলে হাসান মৃধা (২৫), লাল মিয়া মাঝির ছেলে অসীম মাঝি (৩৫) ও হাসান গাজীর ছেলে নাজির গাজী (৩৬), বরিশালের আগৈলঝাড়ার বাগদা গ্রামের মাখন বিশ্বাসের ছেলে দিপন বিশ্বাস (২৮), মেহেন্দীগঞ্জের করিম কবিরাজের ছেলে জহিরুল ইসলাম (২৯), গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার দিগনগর গ্রামের দলিল উদ্দিন শেখের ছেলে বজলুর রহমান শেখ (২৩) এবং ঢাকার হানিফ গাজীর ছেলে তোরন গাজী।
আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল পাশা বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বরিশালগামী সুগন্ধা পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই বাসের ছয় যাত্রী নিহত হন। এসময় আহত হন ৩১ যাত্রী। আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়।
গোপালগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক জানে আলম জানান, খবর পেয়ে মুকসুদপুর থানার সিন্দিয়াঘাট পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের গোপালগঞ্জ, ফরিদপুরের ভাঙ্গা ও মুকসুদপুরের চারটি টিম হতাহতদের উদ্ধার করে। আহতদের প্রথমে ফরিদপুরের ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে ৩১ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ওসি এজাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতদের মরদেহ তাদের কাছে রয়েছে। পরিচয় নিশ্চিত করে স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
**মুকসুদপুরে বাস খাদে পড়ে নিহত ৬
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৮/আপডেট: ১২১৭ ঘণ্টা
আরআর/আরএ