বুধবার (২৩ মে) দুপুরে র্যাব-৬ খুলনার সদরদপ্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন তারা। আগেই আত্মসমর্পণকারী দস্যুদের আর্থিক অনুদানের চেক হস্তান্তর করা হয় এসময়।
অনুষ্ঠানে দাদা ভাই বাহিনীর ১৫ জন, হান্নান বাহিনীর ৯ জন, আমির আলী বাহিনীর ৭ জন, সূর্য বাহিনীর ১০ জন, ছোট শামসু বাহিনীর ৯ জন এবং মুন্না বাহিনীর ৭ জন দস্যু আত্মসমর্পণ করেন।
এসময় তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ৫৮টি আগ্নেয়াস্ত্র ও এক হাজার ২৮৪ রাউন্ড গুলি জমা দেন। এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আগেই আত্মসমর্পণকারী ৫৮ দস্যুর প্রত্যককে পুনর্বাসনে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আর্থিক অনুদানের এক লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে দেশকে জঙ্গি, মাদক ও জলদস্যু-বনদস্যু মুক্ত করতে হবে। আর এ প্রত্যয়ে র্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিটি ইউনিট কঠোর অবস্থান নিয়ে কাজ করছে। অতি শিগগির সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ভিশন-২০২১ ও ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়ন করতে হলে যুব সমাজকে মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা করতে হবে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারাদেশে মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সম্প্রতি তিন হাজারের অধিক মাদক ব্যবসায়ীকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. মো. মোজাম্মেল হোসেন, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) নবনির্বাচিত মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ, নৌ-পুলিশের ডিআইজি শেখ মো. মারুফ হাসান, র্যাব-৮ এর অধিনায়ক আতিকা ইসলাম, খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. হাবিবুর রহমান এবং খুলনা জেলা প্রশাসক মো. আমিন উল আহসান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন র্যাব-৬ এর অধিনায়ক খোন্দকার রফিকুল ইসলাম। এসময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির অন্যান্য সদস্য, পুলিশ, কোস্টগার্ড, বিজিবি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৭ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৮
এমআরএম/এইচএ/