শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে শিশু দুইটির বাড়ি উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের যদুনাথপাড়ায় সরেজমিন গিয়ে তিনি সহযোগিতার হাত বাড়ান। এসময় জোড়া লাগানো নবজাতকদের কোলে তুলে নিয়ে তাদের নাম দেন ইউএনও সুজাউদ্দৌলা।
একজনের নাম রাখেন লামিশা অপরজন লাবিবা। ইউএনও সুজাউদৌলা তাদের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
জানা যায়, গত ১৫ এপ্রিল জলঢাকা পৌর শহরের একটি ক্লিনিকে জন্ম নেয় জোড়া লাগা জমজ শিশু দু’টি। পরে শিশু দু’টিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে সেখানে দাযিত্বরত চিকিৎসক তাদের আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু গার্মেন্টস শ্রমিক দরিদ্র বাবার পক্ষে তা সম্ভব নয়। তাই বাধ্য হয়েই আবার জলঢাকায় নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন এ দম্পতি।
শিশু দু’টির বাবা লাল মিয়া জানায় ডাক্তার বলেছেন ঢাকা ছাড়া এমন জটিল অপারেশন সম্ভব নয়। কিন্তু আমার মত একজন গার্মেন্টস শ্রমিকের পক্ষে এতগুলো টাকা যোগান দেওয়া সম্ভব নয়। তাই আবার জলঢাকায় নিয়ে এসেছি।
লাল মিয়ার স্ত্রী মনুফা আকতার বলেন, গত বছর ৮ জুলাই আমাদের বিয়ে হয়। অভাব অনটনের মধ্যে চলে আমাদের সংসার জীবন। হতদরিদ্র পরিবারে কিভাবে সন্তান দু’টির চিকিৎসা করবো? তাই সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসার আহবান জানান তারা।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুজাউদ্দৌলা বলেন, মানবিক দিক বিবেচনা করে শিশু দু’টির পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। দরিদ্র পরিবারের পক্ষে তাদের চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়। তাই যত দ্রুত সম্ভব সবার সহযোগিতা নিয়ে ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করছি।
এ বিষয়ে ওই ক্লিনিকের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. সেলিম শাহ্ জানান, দ্রুত শিশু দু’টিকে ঢাকায় নেয়া হলে অপারেশনের মাধ্যমে তাদের আলাদা করা যেতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৯
আরএ