তারা হলেন- সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার পরিচয়দানকারী সাতক্ষীরার বাকালী ইসলামপুর পৌর সভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত মফিজুল হাসানের ছেলে মো. আসাদুল ইসলাম (৩৩) ও মেজর পরিচয়দানকারী একই জেলার কোলনি পাড়ার মৃত জব্বার সরদারের ছেলে মো. কিছমত হোসাইন।
বুধবার (১ মে) সকালে উপজেলার চরমাটির এলাকার থেকে তাদের আটক করা হয়।
অন্য আসামিরা হলেন- প্রতারক আসাদুল ইসলামের স্ত্রী লিজা আক্তার, শাশুড়ি ফেন্সী আক্তার ও শ্যালক মো. রাজিব। তারা পলাতক রয়েছেন।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার পরিচয়দানকারী আসাদুল ইসলাম চর মার্টিন গ্রামের আবু ছায়েদ চেয়ারম্যান বাড়িতে বিয়ে করেন। শ্বশুর বাড়িতে আসা-যাওয়ার একপর্যায়ে ওই গ্রামের ইস্রাফিলের সঙ্গে পরিচয় হয়। আলাপচারিতার একপর্যায়ে তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে উঠে। এবং আসাদুল ইসলাম ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ইস্রাফিলকে সেনাবাহিনীতে কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দেন। বিশ্বাস অর্জনের জন্য মেজর পরিচয়দানকারী কিছমতের সঙ্গে মোবাইলে ইস্রাফিলকে কথা বলিয়ে দেয়। এরপর গত ১২ এপ্রিল চাকরি দেওয়ার আশ্বাসে হাতিয়ে নেয় ৩ লাখ টাকা।
এর ১৮ দিন পর ৩০ এপ্রিল রাতে তারা ইস্রাফিলের চাকরির ভুয়া নিয়োগপত্র নিয়ে এসে বাকি ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। এসময় নিয়োগপত্রটি ভুয়া এমন সন্দেহ হলে ভুক্তভোগী ইস্রাফিল বিষয়টি পুলিশকে জানায়।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, আসাদুল ইসলাম সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার ও কিছমত মেজর পরিচয় দিয়ে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করেন। বিষয়টি জানতে পেরে তাদের আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, মে ১, ২০১৯
এসআর/ওএইচ