বৃহস্পতিবার (২৩ মে) এ ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে সন্ধ্যায় সিভিল সার্জন ও পুলিশ সুপার কার্যালয়ে একটি অভিযোগপত্র দেয় স্বজনরা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খোরশেদা বেগমকে। মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে খোরশেদা বেগমকে দুপুরে ঢাকা প্রেরণ করা হয়। খোরশেদাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল নেওয়ার পথে পঞ্চসার এ.আর.ক্লিনিক এলাকায় তিনি মারা যান।
অভিযোগে বলা হয়, মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক তোফাজ্জল হোসেন বলেছেন অক্সিজেন লাগিয়ে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল নিতে হবে। কিন্তু এ্যাম্বুলেন্সের চালক অবহেলা করে অক্সিজেন না লাগিয়ে নেওয়ার ফলে পথিমধ্যে মারা যান খোরশেদা। এছাড়া এ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার উত্তেজিত হয়ে রোগীর বোনকে মারধোর করে।
মৃত খোরশেদার বোন সুফিয়া বেগম জানান, সরকারি অ্যাম্বুলেন্সর চালককে ২ হাজার ২০০ টাকা দিয়েছিলাম।
এদিকে অভিযোগের বিষয় অস্বীকার করে চালক মো. জসিম জানান, এরকম কোন ঘটনা ঘটেনি। অক্সিজেন মার্কস পরানোর বিষয়টি আমাকেও কেউ বলেনি। রোগী নিয়ে কিছুদূর যাওয়ার পরেই তিনি মারা যান।
এছাড়া অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়টিও তিনি স্বীকার করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৩২ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৯
এইচএমএস/এমএমএস