বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাত আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার প্রতিবাদে এলাকাবাসী ও স্বজনরা লাশ নিয়ে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে।
রোগীর স্বজনরা জানান, বিকেলে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পশ্চিম আকুর টাকুর পাড়ার মুকুল মিয়াকে শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রোগীর অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করে। এসময় স্বজনরা বারবার রোগীকে অক্সিজেন দিতে অনুরোধ করে। কিন্তু ডাক্তাররা অক্সিজেন দিতে অস্বিকৃতি জানায়। এর কিছুক্ষণ পরেই রোগীর মৃত্যু হয়।
রোগীর স্বজরা হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. সজিবসহ ২০/২৫ জন ইন্টার্নি শিক্ষার্থীরা রোগীর স্বজসদের মারপিট শুরু করে। হাসপাতালের জরুরী বিভাগে তাদেরকে আটকে রাখে। এছাড়াও নিহতের স্ত্রী হাসিনা বেগম ও ছেলে মাসুমকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে বলেও জানায় তারা।
এ ঘটনায় গণমাধ্যমকর্মীরা সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে তাদের উপরেও চড়াও হয় ইন্টার্নি ডাক্তার ও কর্মচারীরা। পরে পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে নিহত স্বজনদের উদ্ধার করে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেনে আনে।
ঘটনার পরপরই এলাকাবাসী ও রোগীর স্বজনরা এ ঘটনার বিচার দাবিতে হাসপাতাল থেকে লাশ নিয়ে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ করে সড়ক অবরোধ করে রাখে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৩৫ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৯
এইচএমএস/এমএমএস