শনিবার (১৩ জুলাই) সকালে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়।
দানবাক্সগুলো খোলার পর টাকাগুলো প্রথমে বস্তায় ভরা হয়।
টাকা গণনার কাজ তদারকি করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেনের তত্ত্বাবধানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনোয়ার হোসেন ও মীর মো. আল কামাহ তমালসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য ও সার্বক্ষণিক দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এসময় টাকা গণনার কাজ দেখতে যান কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আব্দুল্লাহ আল মাসউদ, মসজিদ কমিটির সদস্য হিসেবে সভাপতি আবদুল হামিদ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. আনম নৌশাদ খানসহ অন্যান্যরা।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন বাংলানিউজকে জানান, তিন মাস পরপর মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এবারও ঠিক তিন মাস পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। পরে টাকাগুলো গুনে নগদ এক কোটি ১৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৫০ টাকা পাওয়া যায়।
তিনি আরও জানান, এ মসজিদের যখন দানবাক্সগুলো খোলা হয়, তখন সাধারণত এক কোটি টাকার মতো পাওয়া যায়। এবারও এক কোটি টাকার উপরে পাওয়া গেছে। টাকাগুলো রূপালী ব্যাংকে জমা রাখা হয়েছে। আর যে স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে তা আগের স্বর্ণালঙ্কারের সঙ্গে যোগ করে দানের সিন্দুকে রেখে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও দানে পাওয়া গবাদি পশু ছাগল, হাঁস-মুরগি প্রতি সপ্তাহেই নির্ধারিত দিনে নিলামে বিক্রি করা হয়।
সর্বশেষ চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল মসজিদের দানবাক্সগুলো খুলে গণনা করে এক কোটি আট লাখ নয় হাজার ২শ’ টাকা পাওয়া যায় বলেও জানান ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন।
কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে আনুমানিক চার একর জায়গায় ‘পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্স’ অবস্থিত। প্রায় আড়াইশ’ বছর আগে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয় বলে ইতিহাস সূত্রে জানা যায়। এ মসজিদের প্রতিষ্ঠা নিয়ে অনেক কাহিনী প্রচলিত আছে, যা ভক্ত ও মুসল্লিদের আকর্ষণ করে।
সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশ্বাস, এখানে মানত করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়। আর এ কারণেই মূলত দূর-দূরান্তের মানুষও এখানে মানত করতে আসেন। দানবাক্সে পাওয়া টাকা সাধারণত কমিটি, জনপ্রতিনিধি ও দায়িত্বশীলদের পরামর্শে বিভিন্ন মসজিদে দান-খয়রাত, মাদ্রাসার উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৯
এসআরএস