বৃহস্পতি ও শুক্রবার (৮, ৯ আগস্ট) জেলার বিভিন্ন পশুর হাট ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। জেলার বাইরে থেকে আসা মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কারণে গরুর দাম গতবারের তুলনায় বেশি বলে দাবি ক্রেতাদের।
এদিকে বিভিন্ন পশুর হাট থেকে ব্যাপারিরা প্রতিদিন কয়েকশ’ ট্রাক গরু কিনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যাচ্ছেন।
ভারতীয় গরুতে সয়লাবের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইজারাদারদের সঙ্গে কথা বললে বিষয়টি তারা অস্বীকার করেন।
রাজনগর হাটের গরু ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা দেশি গরুর ব্যবসা করি। কিন্তু বাজারে দেশি গরুর পাশাপাশি ভারতীয় গরুও প্রচুর বিক্রি হচ্ছে। আমদানি বেশি হলেও গরুর দাম কম নয়। কারণ প্রতিদিন জেলার বাইরে থেকে ব্যাপারিরা এসে ট্রাক ভরে গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
একই হাটের গরু ক্রেতা জহিরুল ইসলাম বলেন, গতবারের চেয়ে দাম কিছুটা নাগালের বাইরে। আমরা পুরো হাট ঘুরে গরু দেখছি।
আব্বাস আলী নামে আরেক ক্রেতা জানান, হাটে প্রচুর ভারতীয় এবং দেশীয় গরু। গত বছর যে গরুর দাম ৩০ হাজার টাকা ছিল এবার সেই গরু ৪০ থেকে ৫০ হাজারে চলে গেছে। একটু কম দামের আশায় শেষ দিকে গরু কিনতে এসেছি।
পঞ্চগড় জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. দেবাশীষ দাস বাংলানিউজকে জানান, এবার কোরবানির ঈদ উপলক্ষে জেলায় গরুর উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের এখানে উৎপাদিত গরু স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে প্রতিদিন জেলার বাইরে যাচ্ছে। সঙ্গে কোরবানির বাজারে গরুর দাম ভালো থাকায় খামারিসহ কৃষক আর গৃহস্থরা দেশি গরুর উপযুক্ত দাম পাচ্ছেন।
এদিকে পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. ইউসুফ আলী বাংলানিউকে বলেন, নিরাপত্তা বজায় রাখতে হাট-বাজারসহ সর্বত্র পুলিশের ব্যাপক নজরদারি রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৯
আরএ