শুক্রবার (২৩ আগস্ট) পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজার সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ মিলনায়তনে শোকদিবসের আলোচনা সভায় মন্ত্রী এ পরামর্শ দেন। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদ পুরান ঢাকা এ সভার আয়োজন করে।
সঙ্গীতশিল্পী নোবেল প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, দেশে বসে দেশের জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে নেতিবাচক কথা বলা হচ্ছে। এক ছোকরা কি যেন তার নাম নোবেল। সে মূর্খের মতো জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে কথা বলে ইউটিউবে। নোবেলের প্রতি আমার স্নেহ ছিল। ছেলেটা ভালো গান করে। দোয়া ও আশীর্বাদ করি বড় হও। কিন্তু জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে কথা বলার তুমি কে? জাতি সম্বন্ধে তোমার এমন মন্তব্য করা উচিত হয়নি। জাতীয় সঙ্গীত সঠিক নয় নোবেল কেন ইউটিউবে বললো। তাই তরুণ সমাজকে বলি ইউটিউবে থেকে সাবধান।
ইউটিউব প্রসঙ্গে এমএ মান্নান বলেন, তরুণ সমাজকে নিয়ে একটি কথা বলতে চাই। এখন সব সময় তরুণদের হাতে থাকে স্মার্টফোন। এর মধ্যে আবার ইউটিউব আছে। এই ইউটিউবে নোংরা, মিথ্যা ও অর্ধসত্য কথা ছড়ানো হচ্ছে। তরুণ সমাজকে এই মিথ্যা ছড়ানো ইউটিউব থেকে দূরে থাকতে হবে। শুধু বিদেশে নয়, দেশে বসেও ইউটিউবে দেশ ও সাংস্কৃতি নিয়ে নানা মিথ্যা ছড়ানো হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধুর অবদান তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, সময় নিয়ে এক জীবনে বঙ্গবন্ধুর অবদান বলে শেষ করা যাবে না। বঙ্গবন্ধুর ঋণ আমরা কোনোদিন শোধ করতে পারবো না। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীন দেশ দিয়েছেন। আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষুধামুক্ত সোনার বাংলা গড়তে হবে। দেশের জন্য কাজ করতে হবে, বঙ্গবন্ধুর সম্মানে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের উন্নয়ন করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, দেশ থেকে অন্যায়-অবিচার দূর করতে হবে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে হবে। আমরা এখানে সব ধর্মকে সম্মান করি। আমাদের খাবার ও সংস্কৃতি এক। আমরা সবাই ভাত, মাছ, ডাল খাই, লুঙ্গি, ধুতি পরে চলাচল করি। আমরা সবাই বাংলায় কথা বলি।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদের (ঢাকা) সভাপতি আহসান সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যাপক আবুল হোসেন, সঙ্গীতশিল্পী রফিকুল আলম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৯
এমআইএস/এএ