পরে প্রকাশ্যে হত্যার চেষ্টাকারী একাধিক মামলার আসামি ফারুককে স্থানীয়রা আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার সময় স্থানীয় মাইন উদ্দিন বাজার সড়কে এ ঘটনায় ঘটে।
গুরুতর অবস্থায় শিক্ষিকা ফাতেমা বেগমকে বিকেলে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ দেখা দিলে তাকে জরুরি ভিত্তিতে ঢাকা পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, স্কুল শিক্ষিকা ফাতেমা বেগম স্কুল ছুটির পর ইজিবাইকে করে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় মাইন উদ্দিন বাজারে এলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা প্রাক্তন স্বামী ফারুক রামদা দিয়ে ইজিবাইক থেকে নামিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে।
এসময় ওই শিক্ষিকাকে বাঁচাতে গিয়ে অপর শিক্ষিকা পলাশী রানীও আহত হয়। তাদের আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে মুমূর্ষু অবস্থায় শিক্ষিকাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে তার অবস্থা আশংকাজনক। সহকর্মী অপর শিক্ষিকা পলাশী রানীকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের জানান, এ ঘটনায় ওই শিক্ষিকার প্রাক্তন স্বামীকে আটক করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে স্বামীর নির্যাতনের কারণে গত দেড় বছর আগে তাকে ডিভোর্স দেয় স্ত্রী ফাতেমা। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে তার ওপর এ হামলা চালায়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯
এমএমএস