দিনব্যাপী নানা ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান শেষে রোববার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিহারগুলোতে মঙ্গল কামনায় ফানুসবাতি ওড়ানো হয়। সারাদেশের মত পাহাড়ের চাকমা ও বাঙালি বড়ুয়ারা এই বিশেষ দিনটি উদযাপন করেছে।
তবে একই ধর্মাবলম্বী হলেও অনেকটা ব্যতিক্রমীভাবে মারমা জনগোষ্ঠীর মানুষ আজ ওয়া বা ওয়াগ্যো প্যোয় উৎসব পালন করছে। সন্ধ্যায় তারা চেঙ্গী নদীতে নৌকা ভাসানো, ফানুস উড়িয়ে ও হাজার প্রদীপ জ্বালিয়ে পূজা করেন। এর আগে শহরে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি শহরের শহীদ কাদের সড়ক হয়ে রাজ্যমনি পাড়া গিয়ে শেষ হয়।
এদিকে ভোর থেকে বুদ্ধ পুজা, পঞ্চশীল গ্রহণ, সংঘদান, অষ্ট পরিষ্কার দান, হাজার বাতি দান ও ধর্ম দেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় প্রবারণার আনুষ্ঠানিকতা। এসময় জগতের সব প্রাণীর সুখ সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।
সকালে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, বৌদ্ধ মূর্তি স্নান ফুল-ফল দিয়ে প্রার্থনা করেন। এসময় সাধ্যমত ভান্তেকে ছোয়াইং (খাদ্য) প্রদান করা হয়। আজ থেকে আগামী একমাস বিহারে বিহারে কঠিন চিবর দানোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৯
এডি/এসএইচ