এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুর ২টায় তাকে ভবনের একটি দেওয়ালের নিচ থেকে চাপাপড়া অবস্থায় তার সন্ধান পাওয়া যায়।
ওয়াজিদ ধসে যাওয়া বাড়িটি থেকে কাছেই আব্দুল রুবেল ও মা কাকলী বেগমের সন্তান। সে একই এলাকার ব্যাপারীপাড়ার সানরাইজ স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক বাংলানিউজকে জানান, নিহতের পরিবারকে সদর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নিহতের পরিবারের পাশে থাকবে উপজেলা প্রশাসন।
তিনি আরও জানান, বাড়িটির ব্যাপারে ও আশ-পাশের ঝুঁকিপূর্ণ বাড়ির ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। কী কারণে এটি ধসে পড়েছে সে ব্যাপারেও তদন্ত করে জানা হবে। ইতোমধ্যে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটিও করা হয়েছে। পাশের বাচ্চু মিয়ার বাড়িটিও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় খালি করে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ভবনটি মূলত একটি ডোবার ওপর নির্মাণ করা হয়েছিল। সেখানকার মানুষরাও এ ব্যাপারে অনেকবার নিষেধ করেছিলেন। ভবনটি কোনো সয়েল টেস্ট কিংবা রাজউকের অনুমতি ছাড়াই নাকি পাইলিং ছাড়া নির্মাণ করা হয়েছিল। ছিল না কোনো ফাউন্ডেশনও। ভবনটি তিনতলা পর্যন্ত করার পরও লোড নিতে পারছিল কিন্তু সম্প্রতি ভবনটির চারতলার ছাদ ঢালাই দেওয়া হয়। আর এ লোড নিতে না পেরে রোববার ধসে পড়ে ভবনটি।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আরেফিন বাংলানিউজকে জানান, একটি দেওয়ালের নিচে চাপা পড়েছিল সে। এ কারণে আমরা তার অবস্থান নিশ্চিত হতে পারিনি। উদ্ধার অভিযানের একপর্যায়ে আজ দুপুর ২টায় তার সন্ধান পাবার পর উদ্ধার শুরু করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৯
এএটি