বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
সভায় উপস্থিত জনপ্রতিনিধিরা বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের আইন অমান্য করে দূষিত পানি নদী-নালায় ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলেন।
এ সময় কারখানা প্রতিনিধিদের উদ্দেশে জেলা প্রশাসক বলেন, আলোচনার বিষয়বস্তু অবশ্যই কারো বুঝতে বাকি নেই। নির্দেশনার জন্য নয়, একটা সুযোগ দেওয়ার জন্য কোম্পানি কর্তৃপক্ষকে ডেকেছি। পরিবেশ রক্ষায় সরকারের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। আইন অমান্য করে পরিবেশ দূষণ করা হচ্ছে, এমন প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো তদবির মেনে নেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, একটু সময় লাগবে। তবে অতীতের ন্যায় সুতাং নদীতে পাল তুলে নৌকা চলবে, ফিরে আসবে মৎস্য সম্পদসহ সব জলজ প্রাণী। সেজন্য প্রশাসন কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করবে।
সভায় সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচাক ইসরাত জাহান পান্না, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট মোতাচ্ছিরুল ইসলাম, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মর্জিনা আক্তার, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সুমি আক্তার, লাখাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিনা আক্তারসহ শিল্প প্রতিষ্ঠানের শতাধিক প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধি এবং সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কমকর্তারা বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৯
এনটি