রোববার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে তিনি মুক্তিলাভ করেন। গত ১২ নভেম্বর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ তাকে জামিন দেন।
রাজশাহী কারাগারের ডেপুটি জেলার সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, রায়ের কাগজপত্র হাতে পৌঁছার পর হালিমুল হক মিরুকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
মিরুর ছোট ভাই হাফিজুর রহমান পিন্টু বাংলানিউজকে বলেন, ২০১৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় হালিমুল হক মিরুকে। প্রায় দুই বছর সাড়ে নয় মাস তিনি হাজতবাস করেন। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিচারপতি রেজাউল হক ও বিশু মহাদেব চক্রবর্তীর নেতৃত্বে হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ তাকে জামিন দেন।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা মিরু’র পাইলস অপরেশন করেছেন। আরও চারটি রোগ ধরা পড়ার কারণে তাকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছেন চিকিৎসকরা।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ চলাকালে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে পরদিন মারা যান দৈনিক সমকালের শাহজাদপুর প্রতিনিধি আব্দুল হাকিম শিমুল। এ ঘটনায় মৃত শিমুলের স্ত্রী নুরুন্নাহার খাতুন বাদী হয়ে পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হালিমুল হক মিরুকে প্রধান আসামি করে ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার পর ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে মিরুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর মেয়র ও দলের পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। মামলাটি বর্তমানে রাজশাহীর বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৯
এনটি