সোমবার (০২ ডিসিম্বর) সকাল থেকে জেলা শহরে সব পাম্পগুলোতে বন্ধ রয়েছে পেট্রোলসহ সব ধরনের জ্বালানি তেল বিক্রি। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন মোটরসাইকেল, বাসসহ বিভিন্ন যানবাহনের মালিক-শ্রমিকরা।
অনেকে শহর থেকে দূরের উপজেলায় যেতে পারছেন না। তেলের অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে বেশ কিছু বাস-ট্রাক। পেট্রোল পাম্পগুলোতে তেল নিতে গিয়ে চালকদের ফিরে যেতে দেখা গেছে। তবে এখনও স্বাভাবিক আছে দূরপাল্লার যান চলাচল। কিন্তু কর্মবিরতি অব্যাহত থাকলে এটিও বন্ধ হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
১৫ দফা দাবি আদায়ে রোববার (০১ ডিসেম্বর) থেকে খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সব জেলায় অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ, জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি, পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতিসহ জ্বালানি ব্যবসায়ীরা।
দাবিগুলো হলো- ১. জ্বালানি তেল বিক্রির প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে সাড়ে ৭ শতাংশ করা; জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট না-কি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান-বিষয়টি সুনির্দিষ্টকরণ; প্রিমিয়াম পরিশোধ সাপেক্ষে ট্যাংকলরি শ্রমিকদের পাঁচ লাখ টাকা দুর্ঘটনা বীমা প্রথা প্রণয়ন; ট্যাংকলরির ভাড়া বাড়ানো; পেট্রোল পাম্পের জন্য কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের লাইসেন্স গ্রহণ বাতিল; পেট্রোল পাম্পের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের লাইসেন্স গ্রহণ বাতিল; পেট্রোল পাম্পে অতিরিক্ত পাবলিক টয়লেট; জেনারেল স্টোর ও ক্লিনার নিয়োগের বিধান বাতিল; সড়ক ও জনপথ বিভাগ পেট্রোল পাম্পের প্রবেশদ্বারের ভূমির জন্য ইজারা গ্রহণের প্রথা বাতিল; ট্রেড লাইসেন্স ও বিস্ফোরক লাইসেন্স ব্যতিত অন্য দপ্তর বা প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল; বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) আন্ডার গ্রাউন্ড ট্যাংক পাঁচ বছর অন্তর বাধ্যতামূলক ক্যালিব্রেশনের সিদ্ধান্ত বাতিল; ট্যাংকলরি চলাচলে পুলিশি হয়রানি বন্ধ; সুনির্দিষ্ট দপ্তর ব্যতিত সরকারি অন্যান্য দাপ্তরিক প্রতিষ্ঠান ডিলার বা এজেন্টদের অযথা হয়রানি বন্ধ; নতুন কোনো পেট্রোল পাম্প নির্মাণের ক্ষেত্রে সংশিষ্ট বিভাগীয় জ্বালানি তেল মালিক সমিতির ছাড়পত্রের বিধান চালু; পেট্রোল পাম্পের পাশে যেকোনো স্থাপনা নির্মাণের আগে জেলা প্রশাসকের অনাপত্তি সনদ গ্রহণ বাধ্যতামূলক ও বিভিন্ন জেলায় ট্যাংকলরি থেকে জোরপূর্বক পৌরসভার চাঁদা গ্রহণ বন্ধ করা।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৯
এসআরএস