সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে অনুষ্ঠিত কুচকাওয়াজে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও আকর্ষণীয় মার্চপাস্টের সালাম গ্রহণ করেন। পরে তিনি কৃতী নবীন নাবিকদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
নৌবাহিনীর ২০১৯-বি ব্যাচের নবীন নাবিকদের মধ্যে মো. জুয়েল রানা, ডিই/এসএ-২/ ইউটি পেশাগত ও সব বিষয়ে সেরা চৌকস নাবিক হিসেবে ‘নৌপ্রধান পদক’ লাভ করে। এছাড়া মো. লিটন, ডিই/ ইউসি/ ইউটি দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে ‘কমখুল পদক’ এবং মো. রবিউল হাসান, ডিই/ ইউসি/ ইউটি তৃতীয় স্থান অধিকার করে ‘তিতুমীর পদক’ লাভ করেন। নৌপ্রধান নবীন নাবিকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। পাশাপাশি মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতার স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসামান্য অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। একইসঙ্গে তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী নৌসেনা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের কথা গভীরভাবে স্মরণ করে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অসামান্য প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা এবং পরবর্তীতে তার সুযোগ্য উত্তরাধিকারিণী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের দ্বারপ্রান্তে উপনীত।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য অবদান ও পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে একটি আধুনিক ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী হিসেবে সুপরিচিত ও সুপ্রতিষ্ঠিত। দেশের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের নৌবহরে যুক্ত হয়েছে আধুনিক যুদ্ধজাহাজ, সাবমেরিন, হেলিকপ্টার, মেরিটাইম প্যাট্রোল এয়ারক্রাফট এবং আধুনিক সামরিক সরঞ্জামাদি। অন্যদিকে অবকাঠামোগত উন্নয়নে যুক্ত হয়েছে নতুন নতুন স্থাপনা, আধুনিক নৌঘাঁটি, প্রশাসনিক ভবনসহ নবীন নাবিক প্রশিক্ষণ বিদ্যালয়ের ন্যায় বৃহৎ ও উন্নতমানের প্রশিক্ষণ স্থাপনা।
মনোজ্ঞ এ কুচকাওয়াজে অন্যান্যের মধ্যে সহকারী নৌপ্রধান (পার্সোনেল) রিয়ার এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল, খুলনা নৌঅঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা এবং খুলনা ও যশোর এলাকার উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং নাবিকসহ নবীন নাবিকদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৯
এমআরএম/এএটি