ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘বুড়িগঙ্গার মতো সব নদী সংলগ্ন অবৈধ স্থাপনার উচ্ছেদ হবে’ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২০
‘বুড়িগঙ্গার মতো সব নদী সংলগ্ন অবৈধ স্থাপনার উচ্ছেদ হবে’ 

গোপালগঞ্জ: পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে সারাদেশে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। বুড়িগঙ্গার মতো সব নদী সংলগ্ন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। অবৈধ নদী ও খাল দখলকারী যেই হোক, ছাড় দেওয়া হবে না।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পারকুশলীতে পাচুড়িয়া-টুঙ্গিপাড়া খালের চলমান খননকাজ পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী।

এনামুল হক শামীম বলেন, বুড়িগঙ্গার মতো প্রতিটি জেলার নদীর পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।

অবৈধ নদী ও খাল দখলকারী যেই হোক না কেন কাউকে ছাড় দেওয়া হেব না। অবৈধ দখলদার যারাই থাকুক না কেন সবাইকেই উচ্ছেদের আওতায় নিয়ে আসা হবে। সারাদেশের মতো গোপালগঞ্জেও এই প্রক্রিয়া চলছে, এবং এটি চলমান থাকবে।

পাচুড়িয়া-টুঙ্গিপাড়া খাল খনন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এনামুল হক শামীম বলেন, এই খাল দিয়েই নৌকায় করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টুঙ্গিপাড়া থেকে গোপালগঞ্জ যাতায়াত করতেন। আমিও একবার ১৯৮৪ সালে এই খাল দিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় গিয়ে বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত করেছিলাম। ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে জাতির পিতার স্মৃতি বিজড়িত এই খাল খনন ও তীর সংরক্ষণ কাজ করা হবে এবং এর শোভাবর্ধন করা হবে। একই সঙ্গে জেলা সদরের হরিদাসপুর নৌ-ডাকবাংলো, যেখানে জাতির পিতা লঞ্চ থেকে নেমে বসতেন সেই ডাকবাংলোও স্মৃতি হিসেবে সংরক্ষণ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

উপমন্ত্রী আরও বলেন, নদী ভাঙন, জলাবদ্ধতা দূর করা ও নৌপথ সচল করার জন্য গোপালগঞ্জের নদী ও খাল খনন, পশ্চিম গোপালগঞ্জে সমৃদ্ধ পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প, পাচুড়িয়া খাল খনন প্রকল্পসহ ১ হাজার ১৬০ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে পাচুড়িয়া খাল খননের কাজ শুরু হয়েছে। বাকি কাজ একনেকে পাশ করে এ সরকারের মেয়াদেই শেষ করা হবে।  

‘আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে বৃহত্তর ফরিদপুরের উন্নয়নমূলক কাজ হয়। অন্য কোনো সরকারের আমলে হয়না। তাই আমরা পানি সম্পদ ও নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে যে সব কাজ হাতে নিয়েছি তা দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করবো। ’

পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পশ্চিমাঞ্চল) মো. হাবিবুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম ওয়াহেদ উদ্দিন চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল হাকিম, গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ বৈদ্য, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমদাদুল হক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাদিকুর রহমান খান প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৪১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২০
একে/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।