শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) একই দিনে ভালোবাসা ও ফাল্গুন উপলক্ষে বরগুনার মানুষের ফুলের চাহিদা মেটাতে নাথপট্টি লেকের সামনে বসেছে কয়েকটি ফুলের ভ্রাম্যমাণ দোকান। দোকানিরা আশা করছেন দিবস দুটোর কারণে দোকানে সারাদিন থাকবে উপচে পরা ভিড়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বরগুনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অধীনে হর্টিকালচার সেন্টার ও শহরের সমিরের পিয়াঙ্গন নামের ফুলের দোকানসহ ভ্রাম্যমাণ দোকান গুলোতেও ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে।
পিয়াঙ্গন ফুলের দোকানে সন্ধ্যায় ফুল কিনতে আসা জহির রায়হান, রাব্বি ও মোরসালিন জানান, প্রতি বছর ফুল কিনতে সমীর দাদার দোকানে আসি। ফুলের দাম একটু বেশি, তারপরও দামে কিছু আসে যায় না, ফুল পেলেই হলো।
পিয়াঙ্গন ফুলের দোকানের মালিক সমির বাংলানিউজকে জানান, বেচাকেনা ভালোই হচ্ছে। এবার ভালোবাসা দিবস ও বসন্ত উৎসব শুক্রবার ছুটির দিনে হচ্ছে। তাই সকাল থেকে বেচাকেনা আরও বাড়বে আশা করা যাচ্ছে। একটি গোলাপ ফুলের দাম ২০ টাকা, গাদা ফুল ১৫ টাকা, যদি ছড়া হিসেবে নেয় তাহলে ১০০০ হাজার ফুল পাওয়া যাবে ৩০০ টাকায়। তাছাড়া অন্য ফুলের ক্ষেত্রেও রয়েছে দামের পার্থক্য বলে জানান সমির।
নাথপট্টি লেকের সামনে ভ্রাম্যমাণ দোকানের ফুল কিনতে আসা আফরোজা, আলিফা ও লাইজু জানান, ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে একটু বেশি দাম দিয়েই ফুল কিনলাম। দামে কি আসে যায় উৎসব তো পালন করবোই।
বরগুনা হর্টিকালচার সেন্টারের নার্সারির তত্ত্বাবধায়ক মো. আবদুল হক বাংলানিউজকে জানান, গত বছরের তুলনায় এবার নার্সারি থেকে ফুল কম বিক্রি হয়েছে। গোলাপসহ গাছের মূল্য ২০ টাকা। নার্সারিতে ফুল প্রতি পিস দুই টাকায় বিক্রি হয় বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২০
আরএ