ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

এসডিজি অর্জনে ৯৪৮.৪৮ বিলিয়ন ডলার খরচ করবে বাংলাদেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২০
এসডিজি অর্জনে ৯৪৮.৪৮ বিলিয়ন ডলার খরচ করবে বাংলাদেশ

ঢাকা: সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি) বা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ অর্জনে আগামী ১০ বছরে ৯৪৮ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচের প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ। আর এজন্য সরকারের পাশাপাশি প্রাইভেট খাতকে এগিয়ে এসে ভূমিকা রাখতে হবে বলেও মন্তব্য তার।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে এসডিজি বিষয়ক এক প্রতিবেদন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়।

বেসরকারি খাতে প্রথমবারের মতো এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।

সামাজিক ব্যবসা বিষয়ক উদ্যোগ সিএসআর সেন্টার এবং ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি বাংলাদেশের যৌথ সহযোগিতায় এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।

প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, এসডিজির এজন্য বিভিন্ন হিসাব মতে, বিশ্বের জন্য পাঁচ থেকে ১০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমান এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য অতিরিক্ত আরও সাড়ে তিন ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করতে হবে। বর্তমানে উন্নয়নশীল দেশগুলো ১৫৬ বিলিয়ন ডলার পাচ্ছে যা মাত্র ৩ শতাংশ।

অন্যদিকে স্বল্পোন্নত দেশগুলো পাচ্ছে ৩৮ বিলিয়ন ডলার যা লক্ষ্যমাত্রার মাত্র শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ। ২০৩০ নাগাদ এসডিজি অর্জন করতে হলে বাংলাদেশকে আগামী ১০ বছরে ৯৪৮ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করতে হবে। এজন্য সরকারের পাশাপাশি প্রাইভেট খাতকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রাইভেটখাত এগোলে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা করা হবে। এছাড়াও এসডিজি অর্জনে চাই পাঁচটি ‘পি’- পিপল (জনগণ), প্ল্যানেট (গ্রহ), প্রসপারিট (উন্নয়ন), পিস (শান্তি) এবং পার্টনারশিপ (অংশীদারিত্ব)।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিকভাবে বিশ্বে বিস্ময়। এটা সম্ভব হয়েছে রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির কারণে। সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনায় এসডিজিকে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে পাঁচ বছর মেয়াদি জাতীয় কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ। এসডিজি এর ১৬৯টি বিষয়কে সামনে রেখে ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। আর সেগুলো বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

এর আগে এক প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব আসাদুল ইসলাম, বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার সদস্য মোশাররফ হোসেন, ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন, জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সিপ্পো এবং গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারজানাহ চৌধুরী। আর এতে সঞ্চালনা করেন সিএসআর সেন্টারের চেয়ারম্যান ফারুক সোবহান।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২০
এসএইচএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।