ঢাকা, শনিবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

উৎপাদনশীলতার মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নে পরিকল্পনা ডিসেম্বরে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০
উৎপাদনশীলতার মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নে পরিকল্পনা ডিসেম্বরে

ঢাকা: চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের জন্য কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে। এ লক্ষ্যে জুনের মধ্যে কর্মপরিকল্পনার খসড়া তৈরির কাজ শেষ করা হবে। এরপর সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে এটি চূড়ান্ত হবে।

দেশের শিল্প, সেবা, কৃষিসহ সবখাতে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে দশ বছর মেয়াদি ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন শুরু হবে।  

শিল্প মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় উৎপাদনশীলতা কার্যনির্বাহী কমিটির ১৯তম সভায় রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এ সিদ্ধান্ত হয়।

শিল্প সচিব মো. আবদুল হালিম এতে সভাপতিত্ব করেন। সভায় রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলের উৎপাদনদক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।  

সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব লুৎফুন নাহার বেগম, বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান মো. রইছ উদ্দিন, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের (বিএসএফআইসি) চেয়ারম্যান সনৎ কুমার সাহা, এনপিও’র পরিচালক নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার, বিসিআইসি’র পরিচালক মো. শাহীন কামাল, নাসিব সভাপতি মির্জা নুরুল গণি শোভন এবং এফবিসিসিআই, এমসিসিআই, বিসিআই, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন, বিকেএমইএ, বিটিএমসিসহ কমিটি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও ট্রেডবডির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।  

সভায় জানানো হয়, মেটেরিয়াল ফ্লো কস্ট অ্যাকাউন্টিং পদ্ধতি প্রয়োগ করে মান নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রাজশাহী, নাটোর ও নর্থবেঙ্গল সুগার মিলের উৎপাদন দক্ষতা বৃদ্ধির কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে এরইমধ্যে জাপানভিত্তিক এশিয়ান প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশনের (এপিও) কারিগরি বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি প্রথম পর্যায়ের সমীক্ষা চালিয়েছেন। চার ধাপে এ পদ্ধতি বাস্তবায়ন করে চিনিকলের উপজাত পুনরায় ব্যবহার, উৎপাদন খরচ সাশ্রয় এবং উৎপাদনশীলতা বাড়ানো হবে। পর্যায়ক্রমে রাষ্ট্রায়ত্ত অন্য ১২টি চিনিকলেও এ পদ্ধতি অনুসরণ করে উৎপাদন দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে সভায় তথ্য প্রকাশ করা হয়।

সভায় শিল্পসচিব বলেন, উৎপাদনশীলতা বাড়াতে প্রোডাকশন চেইনের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। এ লক্ষ্যে শিল্প-কারখানার উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি, জনবল ও সময়ের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।  উৎপাদন প্রক্রিয়ায় জড়িত প্রকৌশলী, টেকনিশিয়ান, কেমিস্টসহ সবার দক্ষতা বাড়িয়ে অপচয়রোধের পাশাপাশি উপজাত পুনর্ব্যবহার নিশ্চিতের তাগিদ দেন তিনি।  

এছাড়া সভায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এনপিও’র উৎপাদনশীলতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সময় তৃণমূল পর্যায়ে কর্মশালা ও সেমিনার আয়োজন করে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের উৎপাদনশীলতা বিষয়ে সচেতন করতে এনপিওকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। পাশাপাশি ‘ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ এর জন্য আবেদনকারীর সংখ্যা বাড়াতে ভবিষ্যতে জেলা পর্যায়ে আবেদন প্রেরণ ও সংগ্রহের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০ 
জিসিজি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।