রোববার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ঘটনাটি জানাজানি হলে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
ওইদিন রাতে বিষয়টি স্বীকার করে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, রকেট লঞ্চার উদ্ধারের ঘটনাটি যশোর সেনাবাহিনীর উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।
সোমবার (১৩ এপ্রিল) সেনাবাহিনীর একটি বিশেষজ্ঞ দল চুয়াডাঙ্গায় এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সেটি ধ্বংস করবেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার গড়গড়ি গ্রামের মন্টু মন্ডলের বাড়িতে গৃহনির্মাণের কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। শনিবার (১১ এপ্রিল) দুপুরের পর নির্মাণ শ্রমিকরা মাটি খুঁড়ার সময় হঠাৎ করে মাটির নিচে লোহার শক্ত একটি বস্তু দেখতে পাই। পরে সেটি রকেট লঞ্চারের মতো দেখতে পেয়ে খবর দেওয়া হয় স্থানীয় মুন্সিগঞ্জ পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যদের। বিকালেই ক্যাম্পের পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বস্তুটি রকেট লঞ্চার হিসাবে সনাক্ত করে।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির জানান, খবর পেয়ে পুলিশের একটি চৌকস দল ঘটনাস্থল থেকে রকেট লঞ্চারটি খুব সাবধানতার সঙ্গে উদ্ধার করেন। বর্তমানে রকেট লঞ্চারটি আলমডাঙ্গা থানাতেই একটি বস্তার মধ্যে রাখা হয়েছে। তবে তিনি জানান, উদ্ধারকৃত রকেট লঞ্চারটি যুদ্ধকালীন সময়ের হতে পারে। কারণ এটি অনেকটা মরিচা পড়ে গেছে।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম জানান, এটি উদ্ধারের ঘটনাটি পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে যশোর সেনাবাহিনীর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদেরও জানানো হয়েছে। সোমবার (১৩ এপ্রিল) সেনাবাহিনীর একটি বিশেষজ্ঞ দলের চুয়াডাঙ্গাতে আসার কথা রয়েছে। বিশেষজ্ঞ দলটি আসলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সেটি ধ্বংস করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২০
ওএফবি