এসব মানুষকে সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত খাদ্যসামগ্রী দেওয়ার পাশাপাশি নিজ উদ্যোগেও মেয়র নিয়মিতই অসহায় মানুষের পাশে এসে দাঁড়ান। তিনি নীরবে কর্মহীন শ্রমজীবীদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন নিজের ‘উপহার’ খাদ্যসামগ্রী।
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, করোনার শুরু থেকেই জীবন ও স্বজনের মায়া কাটিয়ে মাঠে সক্রিয় রয়েছেন মেয়র টিটু। নগরবাসীর মধ্যে তিনি করোনা জনসচেতনতা তৈরিতে প্রচারপত্র বিতরণ করাসহ হ্যান্ড মাইকে প্রচারণা চালিয়েছেন তিনি নিজেই। সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্টদের প্রচারণায় যুক্ত করে ‘লকডাউন’ মানতে নগরবাসীকে উদ্দীপ্ত করেছেন। প্রাণঘাতী করোনার সংক্রমণ রোধে গত মার্চের প্রথম সপ্তাহেই নগরীর আবাসিক, বস্তিসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সাড়ে ৪’শ পয়েন্টে হাত ধোঁয়ার ব্যবস্থা করেন তিনি। এছাড়া দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রায় ৯৫ হাজার সাবান বিতরণসহ প্রায় ২০ হাজার হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও ২৫ হাজার মাস্ক বিতরণ করেছেন মেয়র টিটু।
এছাড়া মেয়র টিটু নিজে উপস্থিত থেকে জীবাণুনাশক ও ব্লিচিং পাউডার মেশানো পানি দিয়ে নগরের প্রধান সড়ক এবং ওয়ার্ডগুলোর মূল সড়কসহ অলিগলি ধুয়ে পরিচ্ছন্ন রাখার উদ্যোগও নেন। নগরীতে উৎপাদিত বর্জ্য থেকে যেন করোনা না ছড়ায় সেজন্য নির্ধারিত ডাম্পিং স্টেশনে আগুন দিয়ে বর্জ্য পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিতে দেশব্যাপী সরকারি ঘোষণার প্রায় এক সপ্তাহ আগেই নগরীর মেছুয়া বাজারকে ব্রহ্মপুত্র নদের বালুচরে স্থানান্তরিত করা হয়। এরপর থেকেই মেছুয়া বাজারে চাপ কমে।
করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতার মধ্যে ও ডেঙ্গু দমনে পুরোদমে মশক নিধন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ।
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের স্যানিটারি ইন্সপেক্টর দীপক মজুমদার বাংলানিউজকে জানান, মেয়র ইকরামুল হক টিটুর নির্দেশে ৩৩টি ওয়ার্ডের জন্য ৪২টি ফগার মেশিনের মাধ্যমে অলি-গলিতে স্প্রে করা হচ্ছে। এজন্য প্রায় ৫০০ লিটার কীটনাশক সংশ্লিষ্টদের সরবরাহ করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনা সংকটে নগরে ঘুরে ঘুরে কর্মহীন, শ্রমজীবী ও অসহায় মানুষের সমস্যা ও দুর্দশা চিহ্নিত করছেন মেয়র টিটুর নিজস্ব টিমের মাধ্যমে। তালিকা ধরে ধরে তাদের সমস্যা সমাধানেও ব্রতী হচ্ছেন। প্রায় ৬০ হাজার গরিব, দুস্থ ও অসহায় মানুষকে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার জোর প্রস্তুতি নিয়েছেন তিনি।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র ইকরামুল হক টিটু বাংলানিউজকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সরকারিভাবে অসহায়, কর্মহীন দিনমজুর ও শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ব্যক্তি উদ্যোগেও প্রায় ৪০ হাজার মানুষকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে কমপক্ষে আরও ২০ হাজার মানুষকে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০২০
একে/আরআইএস/