জানা যায়, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই জেলার বেলকুচি উপজেলার তামাই গ্রামের একঝাঁক তরুণ গড়ে তোলে তামাই ক্লাব লিমিটেড। উদ্যোক্তাদের মধ্যে রিশাদ মোরর্শেদ, ইলিয়াস হোসেন ওয়াসিম, আরাফাত মুসুল্লী, মাহমুদুল হাসান শরীফ, এনামুল কবীর রিফাত প্রমুখ অন্যতম।
ক্লাবের সদস্যরা জাঅনান, করোনার কারণে লকডাউন শুরুর সময় থেকে বেলকুচি এবং এর আশেপাশের বেশ কয়েকটি উপজেলার তাঁত শ্রমিকদের জন্য বিভিন্ন রকম সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেয় ক্লাবটি। এরই মধ্যে দুই ধাপে প্রায় এক হাজার ৭০০ তাঁত শ্রমিক এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য উপহার হিসেবে বিভিন্ন ধরনের খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়েছে। কাজ চলছে, তৃতীয় ধাপে আবারও উপহার সামগ্রী দেওয়ার।
তামাই ক্লাব লিমিটেডের আহ্বায়ক রিশাদ মোর্শেদ বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বন্ধ হয়ে গেছে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার তাঁত কারখানাগুলো। এতে বিপাকে পড়েছেন এ শিল্পের ওপর নির্ভর করা হাজার শ্রমিক। কাজ না থাকায় টানাপোড়নের সংসারে অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটছে তাদের। তখনই আমরা এমন একটি উদ্যোগ নেই। ক্লাবের সদস্যরা মিলেই উপহারগুলো প্যাকেজিং করে পৌঁছে দিচ্ছি। প্রতি প্যাকেটে রয়েছে- আট কেজি চাল, এক লিটার তেল, এক কেজি করে ডাল, পেঁয়াজ, লবণ ও একটি সাবান রয়েছে।
মোর্শেদ আরও বলেন, আমরা বন্ধুরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক অভুক্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। সমাজে আরও অনেক বিত্তশালী সম্পদশালী লোক আছেন, তারাও যদি এগিয়ে আসেন, তাহলে এ অসহায় মানুষগুলো অন্তত ডাল, ভাত খেয়ে বেঁচে থাকতে পারবেন। আমরা ব্যক্তি পর্যায়ে যতটুক সম্ভব এ সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাবো।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২০
ওএইচ/