সোমবার (১৮ মে) নগরীর বারিধারা এলাকায় এডিস মশা নিধনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) চিরুনি অভিযান পরিদর্শনকালে তিনি একথা জানান।
তাজুল ইসলাম বলেন, এডিস মশা আমাদের আবাসিক-অনাবাসিক ভবনের মধ্যে জন্ম নেয়।
‘এরপরেও নির্মাণাধীন বিভিন্ন ভবনের বিভিন্ন জয়গায় যদি এরকম মশা প্রজননের ক্ষেত্র চিহ্নিত করা হয় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে গ্রেফতার করা। অন্য যেসব মামলা দেওয়ার সুযোগ আছে সেগুলোও দেওয়া হবে। ’
মন্ত্রী আরও বলেন, এই ঘোষণা আমরা আগেই দিয়েছি। এর মধ্যে জরিমানা করা হয়েছে। আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট আছে। আমরা আজ বলে যাচ্ছি যারা এখনো বারবার বলা সত্ত্বেও মশার প্রজননে উৎসাহিত করছেন এবং মানুষের জানমাল ও জীবন হুমকির সম্মুখীন করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনের যতগুলো সুযোগ আছে সবগুলো ব্যবহার করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে এডিস মশার প্রজননস্থলের জন্য যারা দায়ী তাদের সামাজিকভাবে হেয়-প্রতিপন্ন করার দাবি জানিয়েছেন ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা যতই অর্থদণ্ড দেই, কারাদণ্ড দেই, লাভ হচ্ছে না। এখন সময় এসেছে তাদের সামাজিকভাবে হেয়-প্রতিপন্ন করার। আমরা বারবার বলছি অতি উচ্চ ভবনে ৫২ শতাংশ এবং নির্মাণাধীন ভবন ২৫ শতাংশ এডিস মশার ঝুঁকির জন্য দায়ী।
এসময় গণমাধ্যমের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে আতিক বলেন, এই যে ভবন যারা নির্মাণ করছেন তারা অনেক টাকার মালিক; ক্ষমতার অধিকারী। এই তাদের জন্য আমরা সবাই ঝুঁকিতে আছি। তাদের আপনারা ক্যামেরায় দেখাবেন যে কেন তারা এই কাজ করছেন? এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে আমরা মৃত্যুর মুখে পড়ে যাবো কোভিড-১৯ এর পাশাপাশি।
এসময় ডিএনসিসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাইসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৮ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২০
এসএইচএস/এএ