সোমবার (১৮ মে) দুপুরে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা এক অভিযানে এই দণ্ডাদেশ দেন। উজ্জ্বল উপজেলার ফুলবাড়িয়া এলাকার ওএমএস ডিলার ছিলেন।
জানা যায়, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় কার্ডধারীরা বছরে ৫ মাস ৩০ কেজি করে পেয়ে থাকেন ১০ টাকা কেজির চাল। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে নিয়মিত বিতরণের বাইরেও অতিরিক্ত সুবিধা হিসেবে তা বিতরণ করা হচ্ছিল। সেই চালের ১৪ টন মজুদ থাকার কথা লাখাইয়ের ফুলবাড়িয়া এলাকার ডিলার উজ্জ্বলের কাছে। কিন্তু সেখান থেকে তিনি সাড়ে ৩ টন চাল আত্মসাত করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এই অনিয়মের সত্যতা পেলে তাকে ৬ মাসের বিনশ্রাম কারাদণ্ড দেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা বাংলানিউজকে জানান, উল্লিখিত আভিযোগের সত্যতা মিলেছে। যে কারণে ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর ৪৫ ধারায় ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি তার ডিলারশিপও বাতিল করা হয়েছে। অভিযানের পরপরই উজ্জ্বলকে কারাগারে পাঠানো হয়।
জেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহ আলম বাংলানিউজকে বলেন, অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ায় বর্তমান ব্যক্তির ডিলারশিপ বাতিল হয়েছে। শীগগিরই সব প্রক্রিয়া শেষে নতুন আরেকজন ডিলার নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২০
এনটি