তবে মুসলিম ভিলেজ প্রতিষ্ঠা করতে গেলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতারের আশঙ্কা থেকে সশস্ত্র প্রতিরোধের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তারা। এজন্য অস্ত্র, বিস্ফোরক সংগ্রহ করে নিজেদের সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টাও করছিলেন।
শনিবার (৩০ মে) পাবনা শহর থেকে আব্দুল্লাহ আকাশ (২৫) নামে আনসার আল ইসলামের এক সদস্যকে গ্রেফতারের পর এমন তথ্য জানায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-২)।
এ সময় গ্রেফতার আকাশের কাছ থেকে ইম্পোভাইজড বোমা তৈরির বিপুল পরিমাণ সরঞ্জামসহ জঙ্গিবাদী বই, পিডিএফ ডকুমেন্টস ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, গত ২৯ জানুয়ারি মুন্সিগঞ্জ থেকে আনসার আল ইসলামের তিন সদস্যকে বিস্ফোরক দ্রব্যসহ গ্রেফতার করা হয়। তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগঠনটির সাতজন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (৩০ মে) পাবনার বিসিক শিল্প এলাকা সংলগ্ন কলাবাগান মাঠপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে আব্দুল্লাহ আকাশকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর স্পেশালাইজ ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানির কমান্ডার পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী জানান, বাংলাদেশে ‘মুসলিম ভিলেজ’ নামে একটি গ্রাম থেকে ওই জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা তাদের কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা করছিলেন। মুসলিম ভিলেজের কসেপ্ট হলো- সেখানে আল্লাহর আইন হবে, মনুষ্য কোনো নীতিতে গ্রাম চলবে না, কেউ সরকারকে কোনো কর দেবে না।
তিনি জানান, গ্রাম পর্যায় থেকে আনসার আল ইসলামের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা করছিলেন তারা। সে অনুযায়ী ‘মুসলিম ভিলেজ’ প্রতিষ্ঠা করতে গেলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অনুমোদন দেবে না কিংবা গ্রেফতারের আশঙ্কা থাকে। তাই সশস্ত্র প্রতিরোধের জন্য অস্ত্র, বিস্ফোরক, ইম্পোভাইজড বোমা তৈরির সরঞ্জামাদি সংগ্রহ করে নিজেদের সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করছিলেন তারা। আনসার আল ইসলামে যোগদানের ক্ষেত্রে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের কোমলমতি যুবকদের টার্গেট করে উদ্বুদ্ধ করে আসছিলেন তারা।
গ্রেফতার আকাশকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান এসপি মহিউদ্দিন ফারুকী।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২০
পিএম/আরআইএস