ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অ্যাওয়ার্ড পেয়ে শতভাগ সন্তুষ্ট মনে করা যাবে না

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৬ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২০
অ্যাওয়ার্ড পেয়ে শতভাগ সন্তুষ্ট মনে করা যাবে না

ঢাকা: জাতিসংঘের কাছে ই-মিউটেশনের স্বীকৃতি হিসেবে ‘ইউনাইটেড নেশন্স পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ পাওয়ার মানে দেশে নামজারি শতভাগ সন্তোষজনক (ওয়েলডান) পর্যায়ে চলে গেছে বলে মনে করা যাবে না।

সম্প্রতি এই পুরস্কারপ্রাপ্তি উপলক্ষে বুধবার (১০ জুন) অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এ মন্তব্য করেন।  

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বিশেষ অতিথি হিসেবে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।


 
দেশব্যাপী ই-মিউটেশন উদ্যোগ বাস্তবায়নের স্বীকৃতি হিসেবে ভূমি মন্ত্রণালয় ‘স্বচ্ছ ও জবাবদিহি সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিকাশ’ ক্যাটাগরিতে ‘ইউনাইটেড নেশনস পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড ২০২০’ পেয়েছে।  
 
ভূমিমন্ত্রী বলেন, পুরস্কারটি ভূমি মন্ত্রণালয়ের নামে দেওয়া হলেও এটা দেশ ও জাতির প্রাপ্য। সর্বোচ্চ সংস্থা থেকে আমরা এই পুরস্কারটি পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর আস্থা রেখে জাতিকে কী সেবা দিতে পারি এবং দেশের জন্য কী করতে পারি সেটা এখন জোরদার করতে হবে।
 
ভূমিমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে গৃহীত ডিজিটাল বাংলাদেশের মহাপরিকল্পনার ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সাল থেকে ই-নামজারি পাইলটিং শুরু হয়। ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে তিনটি পার্বত্য জেলা বাদে সারাদেশে একযোগে শতভাগ ই-নামজারি বাস্তবায়ন শুরু হয়। জাতিসংঘ পুরস্কার প্রাপ্তির পর আমাদের উপর দায়িত্ব আরও বেড়েছে এ স্বীকৃতি ধরে রাখতে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নিতে হবে।
 
ভূমিমন্ত্রী আরও বলেন, ভূমি অফিসে ই-নামজারি চালু হওয়ায় সেবা পেতে কম সময় ও কম খরচ হচ্ছে- এর ফলে নাগরিক সন্তুষ্টি বাড়ছে। দালালদের দৌরাত্ম্য ও মাঠ পর্যায়ে দুর্নীতির সুযোগ কমছে। ভূমিমন্ত্রী ই-নামজারি সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
 
ই-মিউটেশন চালু করা খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মানুষ মিউটেশনের জন্য অনেক বেশি ভোগান্তিতে ছিল। আমরা এখনও যে শতভাগ সুস্থ হয়ে গেছে আমি এটা বলবো না। এটা ইন্সপাইরেশন অ্যাওয়ার্ড। একটা খারাপ জায়গা থেকে আমরা এটাকে অনেক উপরে নিয়ে এসেছি। এটা দীর্ঘ দিনে হয়েছে। এর যাত্রাটা শুরু হয়েছিল ২০০৯ সালে।
 
এই অর্জনকে টেকসই করতে হবে জানিয়ে ভূমিমন্ত্রী বলেন, আমরা যেখানে এসেছি সেখান থেকে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই, এখান থেকে আরও অনেক উন্নতি করতে হবে। এই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজগুলো করছি।
  
তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ মূলত একটি ‘পরিবর্তনের গল্প’। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ অন্য সেক্টরের মতো ভূমি সেক্টরেও আমরা সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য, অর্থাৎ হাতের মুঠোয় ভূমি সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
 
এসময় জুনাইদ আহমেদ পলক জানান প্রায় ৩৬১৭টি ভূমি অফিসে ফিক্সড ব্রডব্যান্ড সংযোগের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে।
 
অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে যোগ দিয়ে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন, ভূমি সচিব মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী বক্তব্য রাখেন।
 
এছাড়া ছিলেন ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান বেগম উম্মুল হাছনা, এটুআইয়ের পলিসি অ্যাডভাইজর আনির চৌধুরী, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. তসলীমুল ইসলামসহ সব বিভাগীয় কমিশনাররা।
 
এর আগে ই-নামজারির প্রকল্পের উপর একটি সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আবদুল মান্নান।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২০
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।