ফলে গত বছরের তুলনায় এবার বিঘা প্রতি কৃষকদের ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেশি লাভ হয়েছে।
রাজশাহীর পবা উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের চর মাজারদিয়াড়ের কৃষক শহীদ আলী, মতিউর রহমান, আলম, রমজান আলী, আব্দুর রাজ্জাক, সিরাজুল ইসলাম, গাফফার আলী, শামসুদ্দীন, নাজিম উদ্দিন জানান, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রকল্পের মাধ্যমে তারা বাদাম চাষ করে এবার আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন।
বিএমডিএ’র রাজশাহী রিজিয়নের নির্বাহী প্রকৌশলী শরীফুল হক জানান, বিএমডি’র উদ্যোগে চরাঞ্চলের কৃষকদের উন্নত জাতের বাদাম বীজ সরবরাহ করা হয়েছে। এবার বাদাম চাষ করে তারা লাভবান হয়েছেন। পদ্মার চরের মানুষের বিশেষ করে কৃষকদের পুষ্টি নিরাপত্তা ও তাদের উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্পও গ্রহণ করা হয়েছে। বিএমডিএ চর মাজারদিয়ায় ইতোমধ্যেই চারটি পাতকূয়া স্থাপন করেছে। সেখান থেকে তারা সুপেয় খাবার পানি পাচ্ছে। আর এ পানি দিয়ে চরাঞ্চলে কৃষক শাক-সবজির আবাদ করেও লাভবান হচ্ছেন।
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী জানান, প্রধানমন্ত্রী বরেন্দ্র অঞ্চলের পদ্মার চরসহ অন্য চরগুলোতে কম পানি গ্রহণকারী এবং হাই ভ্যালু ফসল বাদাম উৎপাদন করার জন্য তাকে নির্দেশনা দিয়েছেন। বিএমডিএ’র মাধ্যমে তাকে এ লক্ষ্যে কাজ করতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সেই নির্দেশনাকে বাস্তবায়ন করতে বিএমডিএ’র উদ্যোগে পবা উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের চর মাজারদিয়ার চাষিদের মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে বীজ বাদাম উৎপাদনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর বিজ্ঞানীদের সহযোগিতা নেওয়া হয়েছে। বান্দরবান থেকে বাদামের বীজ কিনে এবং জামালপুরের বাদাম বিজ্ঞানীদের দেওয়া বীজ এনে চরের কৃষকদের মধ্যে তা দেওয়া হয়েছে। এখন চরে বাদাম ফলিয়ে কৃষকরা ভাগ্য বদলাচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৩ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২০
এসএস/আরবি/