তলিয়ে গেছে প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর জমির ফসল।
বুধবার (০১ জুলাই) সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী এ কে এম রফিকুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি কাজিপুরের মেঘাই পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে বিপৎসীমা অতিক্রম করায় যমুনার পানি প্লাবিত হয়ে তীরবর্তী ও নিম্নাঞ্চলের লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে। কাজিপুর, সদর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হচ্ছে। এছাড়াও অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানিও বৃদ্ধি পেয়ে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, জেলার পাঁচ উপজেলার যমুনা নদী অধ্যুষিত ৩১টি ইউনিয়নের ২৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২২টি শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য এরই মধ্যে ১২৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যে সেগুলো বিতরণ শুরু হবে।
সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. হাবিবুল হক জানান, এরই মধ্যে জেলার আড়াই হাজার হেক্টর জমির সবজিসহ বিভিন্ন ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, ০১ জুলাই, ২০২০
এসআই