পুলিশের পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বিএনপির এ নেতা স্ট্রোক করে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বলে দাবি পুলিশের।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বিকেলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শজিমেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিএনপি নেতা মাসুদুল হক পিন্টুর মৃত্যু হয়।
তিনি উপজেলার আশেকপুর ইউনিয়নের শাবরুল গ্রামের মৃত জাহান মন্ডলের ছেলে। একই ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য।
এদিকে তার মৃত্যুর খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন শজিমেকে ছুটে যান। মরদেহ দেখে পরিবারের লোকজন ও আত্মীয়-স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
নিহতের ভাগ্নে সুমন বাংলানিউজকে জানান, পুকুর নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে দায়ের করা একটি মামলায় মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে কৈগাড়ী ফাঁড়ির ইনচার্জ আনিছুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে মামাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারের পর তাকে মারপিট করা হয়। একপর্যায়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করে দেয় পুলিশ। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান তিনি।
দিবাগত রাত ৮ টার দিকে কৈগাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আনিছুর রহমান আসামিকে মারধরের কথা অস্বীকার করেন।
তিনি জানান, মাসুদুল হক পিন্টু শাজাহানপুর থানায় দায়ের করা একটি মামলার (মামলা নম্বর-১৯) এজাহারভুক্ত আসামি। এ কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে কোনো মারধর করা হয়নি।
নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসার পথে রানীরহাট এলাকায় তিনি স্ট্রোক করেন। এরপর তার স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে তাকে শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে দাবি করেন আনিছুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৭
এমবিএইচ/ওএইচ/