ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবাষির্কীতে বৃহস্পতিবার (০৪ জানুয়ারি) গণভবন মাঠে আয়োজিত শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতি এই তিন মূলমন্ত্র নিয়ে ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল প্রাঙ্গণ থেকে যাত্রা শুরু করে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ছাত্রলীগের ছেলেমেয়েদের আমি বলবো, মনযোগ দিয়ে লেখাপড়া করতে হবে। খালি অংক আর উর্দুতে পাস করলে চলবে না। বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, আমাদের সংস্কৃতি, সাহিত্য সবকিছুই পড়তে হবে। ’
তিনি বলেন, ‘সব মনে রাখতে হবে, দেশকে আগামীতে নেতৃত্ব দিতে হলে শিক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষা ছাড়া কখনো নিজেকেও গড়ে তোলা যাবে না। দেশকে এগিয়ে নেওয়া যাবে না। ’
ছাত্রলীগের মূলনীতির কথা স্মরণ করিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘ছাত্রলীগের যে মূল নীতি, সেই নীতি ধরে এগোতে হবে। শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষার আলোকবর্তিকা হাতে নিয়ে শান্তির পথে প্রগতির দিকে এগিয়ে যেতে হবে ছাত্রলীগের প্রত্যেকটি নেতাকর্মীকে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ’
ছাত্রলীগ কর্মীদের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা আরো বলেন, বাড়িতে গেলে আশেপাশে কেউ যদি নিরক্ষর থাকে তাকে অন্তত অক্ষরজ্ঞান দেওয়া। ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার প্রতি উৎসাহিত করা।
ছাত্রলীগের অবদানের কথা উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘ছাত্রলীগের জন্মই হয়েছে বাংলাদেশের মানুষের অধিকার আদায় করার জন্য। বাংলাদেশের সব অর্জনের পেছনে ছাত্রলীগের ত্যাগ রয়েছে’।
অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৭
এমইউএম/জেডএস