বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে আলাদা করা যাবে না- সেটা আমরা চেষ্টা করি আর না করি কিংবা আমরা চাই বা না চাই।
পঁচাত্তর পরবর্তী পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ ২৮ বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু কেউ-ই তাকে বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে পারে নাই। এখন বঙ্গবন্ধুর চিন্তার ফসলগুলো জনগণের কাছে আমাদের পৌঁছে দিতে হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু যেসব আইন করে দিয়ে গেছেন-সেগুলোর মাধ্যমে স্বাধীনতার ইতিহাসকে দেখার জিনিসটা আমাদের-ই নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। তিনি কী কী আইন করেছিলেন- তা করতে গেলে রাতারাতি এগুলো আইন হয়ে আসে না। একটা মানুষ যদি আগে থেকেই স্বাধীনতার চিন্তা না করে তাহলে পরে এই আইনগুলো হতো না। ১৬ই ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হলো আর ১৫ জানুয়ারি এগুলো হয় না। এগুলো চিন্তা করতে হয় অনেক আগে থেকে। তাই এই বিষয়গুলো তুলে ধরতে হবে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, মানবিকতা, দেশপ্রেম এবং আইনের শাসন ও ন্যায় বিচারের প্রতি তার অগাধ বিশ্বাস ইত্যাদি গুণাবলী তুলে ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করতে বলেন। এজন্য আইনমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি সুপারভাইজরি কমিটিসহ কয়েকটি সাব কমিটি গঠন করা হয়।
সভায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক। সভায় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ছাড়াও মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থা প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৯
জিসিজি/এইচএডি