তিনি বলেছেন, ‘শোকদিবসের অনুষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা নেই। যে আইনজীবী রিট করেছেন তার নেশাই হচ্ছে রিট করা এবং এর মাধ্যমে আলোচনায় আসা।
মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিয়ে বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে ড. মীজান এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, শোকদিবসের অনুষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে হবে এমন কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা নেই। দিবসটিতে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয় এবং এ দিবসে দোয়া করা হয়, সুরা ফাতেহা পাঠ করা হয়।
‘তবে জাতীয় শোকদিবসে কোথায়ও রাষ্ট্রপতি থাকলে জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। তাছাড়া জাতীয় সঙ্গীত বাজানের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। সে কারণে আমি এটা আইনের নোটিশ বলে মনে করি না এবং বিষয়টি অনেকটা হাস্যকর,’ বলেন ড. মীজান।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোকদিবসে অনুষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীত না গাওয়ায় সোমবার (০২ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও জবি উপাচার্যসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ।
নোটিশ পাওয়ার পর থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় আইনজীবী জানিয়েছেন, উল্লেখিত ৬ ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নোটিশে বলা হয়, গত ২৮ আগস্ট ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে জাতীয় শোকদিবস পালনের অনুষ্ঠান হয়েছে। আপনাদের উপস্থিতিতে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আপনারা জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন না করে আইন লঙ্ঘন করেছেন এবং সর্বোপরি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবমূল্যায়ন করে ও অশ্রদ্ধা জানিয়ে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তাই আপনারা আপনাদের পদে বহাল থাকতে পারেন না।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৯
কেডি/এমএ