তিনি বলেছেন, বিষয়টি আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। ভারত আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র, একটি সার্বোভৌম দেশ।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের প্রস্তুতি বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবক ও শৃঙ্খলা উপ-কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন শৃঙ্খলা উপ-কমিটির আহ্বায়ক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামন খান কামাল।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতিক্রিয়ার বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। এ নিয়ে আমার মন্তব্য করা ঠিক না। ভারতের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ইতিবাচক, ভালো সম্পর্ক। এ সম্পর্কের কোনো টানাপোড়েন সৃষ্টি হলে দ্বি-পক্ষীয়ভাবে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করতে পারবো বলে আমি বিশ্বাস করি।
আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের এবারের সম্মেলনে সর্বকালের সর্বোচ্চ জমায়েত হবে। সারা দেশ থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী প্রস্তুতি নিচ্ছেন সম্মেলনে আসার জন্য। তাই এখনই বলা যাবে না যে- কত জমায়েত হবে।
‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, যারা প্রধানমন্ত্রীর সংলাপে অংশগ্রহণ করেছিল, সেসব দলকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। এবার বিদেশি অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হবে না। দলের গঠনতন্ত্রেও বড় কোনো পরিবর্তন আসবে না। কার্যনির্বাহী কমিটির পরিধি যা আছে তাই থাকবে। ’
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী ১৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬ টায় দলের কার্যনির্বাহী সংসদের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ সভায় সার্বিক বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে নেত্রী (প্রধানমন্ত্রী) সম্মেলনের বিষয়ে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। সে অনুযায়ী প্রস্তুতিও প্রায় চূড়ান্ত। সম্মেলনে দুই হাজার কর্মীকে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে।
সভায় অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৩ ঘণ্টা, ডিসম্বের ১৫, ২০১৯
এসকে/এমএ