বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে রূপগঞ্জ থানায় উভয়পক্ষ মামলা দায়ের করে। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) অভিযান চালিয়ে পুলিশ উভয়পক্ষের নয়জনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার আসামিরা হলেন, মেহেদী হাসান বাপ্পি, জিসান, রফিক, সুমন, দ্বীন ইসলাম, দ্বীপ বিশ্বাস, সোহাগ, আসাদ ও মেহেদী হাসান রনি।
জানা যায়, ২৫ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) রাত ৯টার দিকে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় এক পক্ষ আরেক পক্ষের কার্যালয় ভাঙচুর করে। এসময় কার্যালয়ে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর ছবি ভাঙচুর করা হয়।
এ ঘটনায় ভুলতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হামজালার পক্ষে তার স্ত্রী মুন্নি আক্তার বাদী হয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগৈর সভাপতি ফয়সাল আলম শিকদার, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুম, আব্দুল্লাহ ও ইমরানসহ ৫০/৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে একই ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা খন্দকার তারেক আহম্মেদ বাদী হয়ে হামজালা, সিয়াম, মানিক, সৌরভ, ইসমাইল, সোহাগ, মেহেদীসহ অজ্ঞাত আরও ১০/১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান জানান, এ ঘটনায় উভয়পক্ষই মামলা দায়ের করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২০
এবি