মঙ্গলবার (৩ মার্চ) বিকেল ৪টায় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে মরণোত্তোর একুশে পদকপ্রাপ্ত আব্দুল জব্বারের জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন একথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আব্দুল জব্বারের মতো সৎ, নির্ভিক, কর্মীবন্ধব ও নিঃস্বার্থ একজন কর্মীকে মরণোত্তর একুশে পদক দিয়ে সম্মানিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
‘বৃহত্তর সিলেটে গণমানুষের স্বার্থহীন ও পরোপকারী দুই নেতার একজন পীর হাবিবুর রহমান। আরেকজন মরহুম আব্দুল জব্বার। ’
ড. মোমেন আব্দুল জব্বারের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, ১৯৬২ সালে তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক হয়। এরপর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আব্দুল জব্বার একজন খাঁটি কৃষক। কৃষিকাজের পাশাপাশি ১৯৫৭ সালে তিনি কিশোর বয়সে রাজনীতিতে যোগ দেন। বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য এই নেতা জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে সু-সংগঠিত করতে কাজ করে গেছেন। যিনি ১৯ বছর বয়সে কুলাউড়া উপজেলার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক হন এবং এই পদে থেকেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
বক্তব্যের শুরুতেই মন্ত্রী আব্দুল জব্বারকে নিয়ে দেওয়ান ফরিদ গাজীর স্মৃতিচারণমূলক লেখার কিছু অংশ পাঠ করেন।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক ফজলুর রহমান, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী।
আবদুল জব্বার (১৯৪৫-১৯৯২) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ, ভাষাসৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও মৌলভীবাজার-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের এ সংগঠক ১৯৯২ সালে ২৮ আগস্ট মাত্র ৪৭ বছর বয়সে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে নিজবাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২০
এনইউ/এএ