ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আওয়ামী লীগ

বঙ্গবন্ধু অল্প দিনে দেশকে ৩৫ বছর এগিয়ে দিয়েছিলেন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১১ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২০
বঙ্গবন্ধু অল্প দিনে দেশকে ৩৫ বছর এগিয়ে দিয়েছিলেন

ঢাকা: ‘বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে সাড়ে তিন বছরে যে ধারা রচনা করেছিলেন, তা বাংলাদেশকে ৩৫ বছর এগিয়ে এনেছিল। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও জাতির পিতার দেখানো পথেই দেশ পরিচালনা করছেন। এ কারণেই আমরা সেই সুদিন আবার দেখতে পাচ্ছি।’

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনলাইনে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে ‘গণমানুষের পাশে আওয়ামী লীগের ৭১ বছর’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে তারা এ কথা বলেন। মঙ্গলবার (২৩ জুন) দিবাগত রাতে জুম অ্যাপের মাধ্যমে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে অনলাইনে যুক্ত হন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এবং জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সুভাষ সিংহ রায়।

অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, বঙ্গবন্ধু যদিও সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি যত কাজ করে গেছেন এবং কাজের যে ধারা রচনা করে গেছেন, তা বাংলাদেশকে ৩৫ বছর এগিয়ে দিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাও জাতির পিতার দেখানো নিয়মেই দেশ পরিচালনা করছেন। তাই বলেই আমরা সেই সুদিন আবার দেখতে পাচ্ছি।

সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন শুরু হয় বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে। বঙ্গবন্ধু সারা জীবন লড়াই সংগ্রাম করেছেন। তিনি তার জীবনের ১৪টি বছর জেলে কাটিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু যখন ছয় দফা দিলেন, তখন সারা বাংলার মানুষ একে মুক্তির সনদ হিসেবে গ্রহণ করে। সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর দল আওয়ামী লীগ ১৬৭টি আসন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। যখন বঙ্গবন্ধুকে সরকার গঠন করতে দিল না, তখন স্বাধীনতার ডাক দেওয়া ছাড়া বঙ্গবন্ধুর আর কোনো উপায় ছিল না।

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত বলেন, আওয়ামী লীগের জন্মই হয়েছিল এদেশের মানুষকে স্বাধীনতা এনে দেওয়ার জন্য। ১৯৭১ সালে যখন লাখ লাখ তরুণ মুক্তিযুদ্ধ করছিল, তখন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে তারা ‘প্ল্যানিং সেল’ গঠন করেছিল। ভবিষৎ বাংলাদেশ কীভাবে পরিচালিত হবে, তার জন্য। স্বাধীন হওয়ার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশ, যাকে বলা হচ্ছিল টিকবে না, সেই রকম একটা পরিস্থিতি থেকে তিন বছরে পুনর্গঠন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বাংলাদেশকে একটি অনগ্রসর জাতিতে পরিণত করতে বিএনপি-জামায়াত জোট যখন সাবমেরিন কেবল সংযোগের অনুমতি দিল না, তখন আমরা অনেক পিছিয়ে পড়লাম। পরবর্তীতে যখন মোবাইল সেবা এলো বিএনপি আমলে তখন একটা মোবাইল সংযোগ নিতে খরচ পড়তো দেড় লাখ টাকা। যা আমাদের মতো সাধারণ মানুষের পক্ষে সংযোগ নেওয়া সম্ভব ছিল না। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ৯৬ সালে যখন ক্ষমতায় এলো, তখন দলমত নির্বিশেষে সবাইকে মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবসার সুযোগ দেওয়া হলো। এটাই হচ্ছে মানুষকে সেবা করার সদিচ্ছা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০২ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২০
এসকে/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।