এ প্রসঙ্গে মালয়েশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি ড. আহমেদ জাহিদ হামিদি বলেন, এয়ারপোর্টের অনেক অফিসারই তাদের ইমিগ্রেশনের বন্ধুদের ব্যবহার করছেন বাংলাদেশিদের অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করাতে। এমন অফিসারের সংখ্যা অনেক।
এমনই প্রায় ৬শ’ সন্দেহভাজনকে সিভিল সার্ভিসের নিয়ম মেনে সরকারি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বদলি করা হয়েছে বলে জানান জাহিদ হামিদি।
তিনি বলেন, ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক সেরি মুস্তাফা আলী যেভাবে মানবপাচারের বিষয়টি সামলাচ্ছেন তা প্রশংসনীয়। যারা সিন্ডিকেটে জড়িয়ে আইন অমান্য করছেন তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গত শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বিদেশি শ্রমিক এবং অবৈধ অভিবাসী নিয়ে গঠিত কমিটির সভাপতির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, তবে আমাদের এটা ভুললেও চলবে না যে, হাজারের ওপর সৎ ও পরিশ্রমী ইমিগ্রেশন অফিসার রয়েছেন।
উপ-প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, চলমান সমস্যা মোকাবেলায় ২ জন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাসহ মোট ৫ জনকে গত বৃহস্পতিবার আটক করা হয়েছে তদন্তের স্বার্থে। বাকি তিনজনের মধ্যে ২ জন বিদেশি নাগরিক। এ নিয়ে সব মিলিয়ে কুয়ালালামপুর এয়ারপোর্ট থেকে ৭ জনকে আটক করা হলো।
তিনি বলেন, আমরা পুলিশ এবং মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশনকেও এই তদন্তে সহযোগিতা করতে বলেছি। দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে সর্ম্পকিত এই বিষয় আমরা এড়িয়ে যেতে পারি না।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, কুয়ালালামপুর ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশিদের প্রবেশ করানোর ৪টি সিন্ডিকেট কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৭
জেডএম/