২০১৩ সালে সান্তোস থেকে বার্সায় পাড়ি জমান নেইমার। কিন্তু ন্যু ক্যাম্পে সবসময়ই লিওনেল মেসির ছায়া হয়ে ছিলেন।
বার্সায় সেই লক্ষ্যে আরও কয়েক বছর অপেক্ষায় থাকতে হতো কারণ মেসি এখনো সেরা লেভেলে। পিএসজিতে নিঃসন্দেহে টিমের সেরা তারকা হবেন নেইমার এবং ক্লাবের লক্ষ্যমূলেও থাকবেন কেন্দ্রবিন্দুতে।
আগামীতে স্বপ্নের ব্যালন ডি’অর (বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি) জিততে চান নেইমার। এখন যে শুধুমাত্র মেসির ছায়া হয়ে আছেন তা নয়, রিয়াল মাদ্রিদ সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পেছনেও থাকতে হচ্ছে। ২০১৫ ফিফা ব্যালন ডি’অরে মেসি-রোনালদোর পর তৃতীয় স্থানে ছিলেন।
তাই পিএসজির জার্সিতে নেইমারের সেরার আসনে বসার লক্ষ্য পূরণের ভালো সুযোগ থাকবে। বিশেষ করে যদি তিনি ফ্রেঞ্চ জায়ান্টদের চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা এনে দিতে পারেন। অন্যদিকে, জাতীয় দল ব্রাজিলের হয়ে চূড়ান্ত সাফল্য তাকে নিয়ে যেতে পারে সবার উপরে। আগামী বছর রাশিয়ায় বসছে বিশ্বকাপ। পিএসজিতে আবার ব্রাজিলিয়ান সতীর্থের কমতি নেই।
বার্সা অধ্যায়ের ইতি টানার পেছনে বিশাল অঙ্কের আর্থিক প্রস্তাব হয়তো অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। তাকে পেতে রেকর্ড রিলিজ ক্লজ (ক্লাবের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যেতে চাইলে এ পরিমাণ অর্থ দিতে হবে) ২২২ মিলিয়ন ইউরো দিতে যাচ্ছে ফ্রেঞ্চ পরাশক্তিরা।
অথচ, গত বছর বার্সার সঙ্গে পাঁচ বছরের নতুন চুক্তি করেছিলেন নেইমার। কোনো ক্লাব যাতে আগ বাড়াতে না পারে সেজন্যই এমন আকাশছোঁয়া রিলিজ ক্লজ বেঁধে দিয়েছিল কাতালানরা। কিন্তু শেষ রক্ষাটা আর হলো না!
চুক্তি সই হলেই বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় হবেন ২৫ বছর বয়সী নেইমার। যেটি এখন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পল পগবার দখলে (১০৫ মিলিয়ন ইউরো)। পিএসজির সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি করবেন রিও অলিম্পিক হিরো। সম্ভাব্য বাৎসরিক পারিশ্রমিক ৩০ মিলিয়ন ইউরো। টাকার অঙ্কে ২৮৬ কোটি ৩৮ লাখের বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, ২ আগস্ট, ২০১৭
এমআরএম