বাগেরহাট থেকে ফিরে: ‘আগে আমাগে রাস্তা অনেক খারাপ ছিলো, এহন অনেক ভালো হইয়ে গেছে। বলতি গেলি ধবধবে রাস্তায় ভাত পড়লি উঠিয়ে খাওয়া যায়’।
বাগেরহাট-মোড়েলগঞ্জ মহাসড়কের বর্তমান অবস্থার বর্ণনা দিতে গিয়ে এমনটি বললেন এ রাস্তার ইজিবাইক চালক মো. আব্দুল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘বছর খানেক আগেও বাগেরহাট-মোড়েলগঞ্জ মহাসড়কে গাড়িতো দূরের কথা, মানুষও পায়ে হেঁটেও চলাচল করতে পারতেন না। এখন সেই রাস্তাই পুরো চকচকে’।
নতুন রাস্তা হওয়ায় একদিকে যেমন যাত্রীরা স্বস্তিতে চলাফেরা করতে পারেন, তেমনি চালকদের গাড়িও ভালো থাকে বলে মন্তব্য করেন আব্দুল্লাহ।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) ও রোববার (১৮ ডিসেম্বর) সরেজমিনে বাগেরহাট-খুলনা, বাগেরহাট-মাওয়া, বাগেরহাট-মোড়েলগঞ্জ, বাগেরহাট-পিরোজপুর মহাসড়ক ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি সড়কই ধবধবে-চকচকে। রাস্তায় নেই কোনো খানা-খন্দক। রাস্তার দুই পাশে রয়েছে বিভিন্ন গাছের সারি। নির্মল বাতাস আর সবুজের ছায়া প্রশান্তি দেয় পথিককে। রাস্তা ভালো থাকায় পর্যটকরাও স্বস্তিতে যাতায়াত করতে পারছেন। এছাড়া এ অঞ্চলের বিখ্যাত গলদা-বাগদা চিংড়িসহ কৃষিপণ্য অনেকটা সহজে বাজারজাত করা যাচ্ছে। কিছু রাস্তার সংস্কার প্রয়োজন, যেগুলোর সংস্কার হলে আরও পর্যটক বাড়বে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
তারা বলছেন, পদ্মাসেতু হয়ে গেলে রাস্তা ভালো থাকায় পর্যটন নগরী বাগেরহাটে পর্যটক বেড়ে যাবে। যা এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আরও ভূমিকা রাখবে।
বাগেরহাট জাদুঘরের কাস্টডিয়ান গোলাম ফেরদৌস বাংলানিউজকে বলেন, আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন বাগেরহাটের রাস্তা ভালো হওয়ায় দলবেধে আরামে ঘুরতে পারছেন বিশ্ব ঐতিহ্য ষাট গম্বুজ মসজিদ, হযরত খানজাহানের (রহ.) মাজার, সুন্দরবনসহ জেলার বিভিন্ন ঐতিহাসিক নিদর্শন ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আসা পর্যটকরা।
তিনি মনে করেন, পদ্মাসেতু চালু হলে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে। এতে এ অঞ্চলে বিনিয়োগ বাড়বে, মানুষের আয় বাড়বে। বাগেরহাটের পর্যটন শিল্পেরও বিকাশ ঘটবে।
আরও পড়ুন..
** মুড়ি ভাজার শব্দে ঘুম ভাঙে! (ভিডিও)
** নারকেল-সুপারির বাগানে ভরপুর বাগেরহাট
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৬
এমআরএম/এএসআর