আবহাওয়া অধিদফতরের দেওয়া পূর্বাভাস জানাচ্ছে, রাজ্যজুড়ে দিনভর বৃষ্টি নামবে। মাঝে মধ্যে রোদেরও দেখা যেতে পারে।
বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ও শুক্রবার (১ মার্চ) আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। তবে এদিন রাজ্যের কোথাও কালবৈশাখীর কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে আগামীদিনে রাজ্যের উপর দিয়ে কালবৈশাখী দেখা দিতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে শীতকালীন সবজি প্রায় শেষের দিকে। ইতোমধ্যে বাজারে উঠতে শুরু করেছে বর্ষাকালীন ডাটা, ঢেঁড়স, ঝিঙেসহ আরও অনেক সবজি। হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় বর্ষাকালীন সবজিও বেশ ভালো ফলন হবে।
ত্রিপুরা রাজ্যের সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত এলাকা সিপাহিজলা জেলার সোনামুড়ার কৃষক বিজয় লস্কর বাংলানিউজকে জানান, বৃষ্টি হওয়ায় সবজিক্ষেতে পানি দিতে হবে না। বৃষ্টির পানি পেয়ে গাছগুলো সুস্থভাবে বেড়ে উঠবে।
মোহনপুর এলাকার চা শ্রমিক কমল বাংলানিউজকে জানান, বৃষ্টিতে ভালো হবে চা গাছের। বিশেষ করে শীতের শুরুতে চা বাগানের গাছের পাতার কিছু অংশ ছাঁটাই করা হয়, এটাকে প্রুনিং বলে। প্রুনিং করা চাগাছগুলো ইতোমধ্যে কুঁড়ি চলে এসেছে। বৃষ্টির পানি পেয়ে এ চা গাছের কুঁড়িগুলো দ্রুত বেড়ে উঠবে। তা থেকে দ্রুত চাগাছের পাতা সংগ্রহ করা যাবে। মূলত চাগাছ থেকে ভালো মানের পাতা পাওয়ার জন্য কয়েক বছর পর পর গাছের প্রুনিং করা হয়।
সবমিলিয়ে বসন্তকালের শুরুতে হওয়া হঠাৎ বৃষ্টি সবার জন্য মঙ্গল নিয়ে এসেছে। তবে আগামীদিনে কালবৈশাখী ঝড় এলে কি অবস্থা হয় সেদিকে তাকিয়ে আছেন সবাই।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৯
এসসিএন/এএটি