এতে ত্রিপুরার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলার জেলা প্রশাসক সি কে জমাতিয়া, ঊনকোটি জেলার জেলা প্রশাসক রবীন্দ্র রিয়াং এবং ধলাই জেলার জেলা প্রশাসক শরদিন্দু চৌধুরী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এই তিন জেলার পুলিশ কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক সীমান্তের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীরসহ (বিএসএফ) অন্যান্য দফতরের কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলার জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম, খাগড়াছড়ি জেলার জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম, বান্দরবান জেলার জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ কর্মকর্তা, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) কর্মকর্তাসহ অন্যান্য দফতরের মোট ২২ জন কর্মকর্তা। বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন মৌলভীবাজার জেলার জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম।
বৈঠক শেষে উভয়দেশের কর্মকর্তারা এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। আগের বৈঠকে উভয় দেশের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছিলো ও কাজ করার অঙ্গীকার করা হয়ছিলো তা কতটুকু কার্যকর করা হয়েছে, উভয় দেশের পক্ষে তা রিপোর্ট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। রিপোর্ট দেখে উভয় দেশ সন্তোষ প্রকাশ করে।
পাশাপাশি উভয়দেশের সীমান্তে চোরাচালান, মাদক পাচাররোধ, নারী ও শিশুপাচার শূন্যে নিয়ে আসা, উভয় দিকে অপরাধীদের অনুপ্রবেশ কি করে ঠেকানো যায়, সীমান্তের পুরনো পিলারগুলোর সংস্কার, প্রয়োজন অনুসারে নতুন পিলার স্থাপন, আরো কিছু সীমান্ত হাট নির্মাণ, সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পরে ত্রিপুরার রাজ্যের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশে গিয়ে বৈঠক করবেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৯
এসসিএন/জেডএস