বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) সন্ধ্যায় আগরতলার মহাকরণে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান মন্ত্রী।
প্রণজীৎ সিংহ রায় বলেন, রাজ্যে বর্তমানে প্রায় চার লাখ ৫২ হাজার কৃষক রয়েছেন।
তিনি বলেন, উচ্চফলনশীল প্রজাতির ভূট্টা চাষ করার জন্য কৃষকদের উৎসাহিত করা হবে দফতরের তরফে। চাষিদের উৎপাদিত ভুট্টা সরকার বাজারজাত করার দায়িত্ব নেবে। ভুট্টা চাষিদের প্রতি হেক্টর পিছু ছয় হাজার রুপি করে রাজ্য সরকার আর্থিক সহায়তা করবে। ভুট্টার ফসল ছাড়াও এ গাছের সব অংশই কাজে লাগে। মুরগি ও মাছের খাবার তৈরিতে ভুট্টা গাছের ব্যবহার হয়। ধানের পর ভুট্টাকে রাজ্যের দ্বিতীয় ফসল হিসেবে তোলে আনা হবে। গড়ে হেক্টর প্রতি সাড়ে তিন হাজার মেট্রিক টন উৎপাদন করার লক্ষ্য মাত্রা নিয়ে আগানো হচ্ছে। ভুট্টা চাষের আওতায় ৬০ হাজার জন কৃষককে আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
ভুট্টা চাষের পাশাপাশি আগামী ৩ বছরে ২২ হাজার হেক্টর জমিতে মাসকলাই চাষের জন্যও সরকার উৎসাহিত করবে রাজ্য সরকার বলে জানান মন্ত্রী প্রণজীৎ সিংহ রায়। কারণ এ ফসল অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিতে খুব কম সময়ে মাত্র ৩ মাসের মধ্যে ফসলের ফলন হয়ে যায়। এ ফসল চাষে পানিও খুব কম লাগে।
‘রাজ্যের মাটি আখ চাষের জন্য উপযোগী। বিশেষ করে রাজ্যের নদীর চরাঞ্চলে বেশি চাষ হয়। এজন্য সরকার আখ চাষে কৃষকদের সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। সরকার আখ চাষিদের হেক্টর পিছু ২০ হাজার রুপি সহায়তা করবে। ’
বর্তমানে বিশ্বজুড়ে অর্গানিক ফসলের চাহিদা বাড়ছে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে রাজ্যেও জমিকে অর্গানিক জমিতে রূপান্তরিত করার কাজ চলছে। সাধারণ জমিকে অর্গানিক জমির সনদ পেতে তিন বছর সময় লাগে বলে জানান প্রণজীৎ সিংহ রায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২০
এসসিএন/আরবি/